মেরুপ্রদেশের উষ্ণায়নে কঠিন লড়াই জলজ প্রাণীদের

মেরুপ্রদেশের উষ্ণায়নে কঠিন লড়াই জলজ প্রাণীদের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৩ মে, ২০২২

২০০৭ সাল থেকে ক্রমাগত দক্ষিণমেরুতে যাতায়াত জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাট্রিসিয়া ইয়েগারের। তিনি দেখেছেন, প্রায় স্ট্যাচু অফ লিবার্টির উচ্চতার দুটি হিমশৈল। তবে তাপমাত্রা বাড়ায় ক্রমশ কমছে তাদের উচ্চতা। এই পরিস্থিতিতে প্যাট্রিসিয়ার অনুসন্ধান ছিল উষ্ণায়নে বদলে যাওয়া মেরুপ্রদেশের বাস্তুতন্ত্রে কীভাবে বেঁচে থাকছে জলজ প্রাণীরা। তার অনুসন্ধান থেকে জানা গিয়েছে, খুবই লড়াই করতে হচ্ছে জলজ প্রাণীদের বেঁচে থাকতে।
প্যাট্রিসিয়া যেমন জানিয়েছেন, সিল মাছদের আদর্শ অঞ্চল পলিনিয়া। যে অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সামুদ্রিক বরফ ভেসে থাকে। সেই পলিনিয়া গলে যাচ্ছে। প্যাট্রিসিয়া দেখেছেন একটি এলিফ্যান্ট সিলও। গলতে থাকা পলিনিয়ায় দেখা যাচ্ছে হিমশৈল জলে আয়রনের বৃদ্ধিতে। সাধারণত অ্যান্টার্কটিকার জলে ভাসমান ফাইটোপ্ল্যানকটন সিল মাছের খাদ্য। কিন্তু পলিনিয়ার বরফগলা জলে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের অভাব দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে আয়রন মিশে যাওয়ায়। তাই খাবারের খোঁজে অজানা জলে সাঁৎরে বেড়াচ্ছে এলিফ্যান্ট সিল। শুধু তাই না, এই অতি-উষ্ণায়নে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এডিলেড পেঙ্গুইনদের বাসস্থানও। অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিমপ্রান্তে সামুদ্রিক হিমশৈল ঘেরা উপদ্বীপে পেঙ্গুইনদের বাস। বরফ গলার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে পেঙ্গুইনদের সংখ্যা। পাশাপাশি বদলে গিয়েছে অন্যান্য প্রাণীদের খাদ্যাভ্যাস এবং এবং আচরণ। ইয়েগার বলছেন, বরফ গলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে, অস্তিত্বের যুদ্ধ। ‘এই যুদ্ধে কেউ জিতবে বা কেউ হারবে। কিন্তু গোটা পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রেই আমূল পরিবর্তন আসবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + one =