যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে ভাঁটা পড়ছে – গবেষণা বলছে তেমনই

যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে ভাঁটা পড়ছে – গবেষণা বলছে তেমনই

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩০ এপ্রিল, ২০২৩

বৈদ্যুতিক বাতিই হোক বা টেলিফোন, উড়োজাহাজ থেকে এক্সরে অথবা টেলিফোন। পৃথিবীর জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার ইতিহাস এমন সব উজ্জ্বল মাইলফলকে ভরে আছে। এইসব আবিষ্কারের উপরে ভর করেই আমাদের উত্তরাধুনিক জীবন সমাজ সভ্যতা আর বৈজ্ঞানিক গবেষণা। কিন্তু কয়েক লক্ষ গবেষণাপত্র আর পেটেন্টের খতিয়ান খুঁটিয়ে দেখে নতুন এক গবেষণায় দাবী করা হয়েছে, মোড়-ঘুরিয়ে-দেওয়ার মতো আবিষ্কারের সংখ্যা দিনেদিনে কমে আসছে। গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে এই প্রতিবেদন।
মুখ্য গবেষক ছিলেন মাইকেল পার্ক। সংবাদ সংস্থা এপিএফ-কে তিনি বলেছেন, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির মোটামুটি সব শাখাতেই এই অধঃপতন। যদিও শেষ দুশো বছরে জ্ঞানবিজ্ঞানের পরিধি অবিশ্বাস্য রকম বিস্তৃত হয়ে চলেছে।
মাইকেল পার্ক একজন ডক্টরাল ছাত্র। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়েরর অন্তর্গত কার্লসন স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের সাথে যুক্ত উনি। আরও পরিষ্কার করে উনি জানিয়েছেন, চালু ধারনাগুলো থেকে ভেঙে বেরনোর মতো কোনও আবিষ্কার গত কয়েক দশকে সত্যিই হয়নি। গোটা বৈজ্ঞানিক চিন্তার ক্ষেত্রটা যে সম্পূর্ণ অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে, এমন কোনও তত্ত্বও সামনে আসেনি। যেটা খুব ধারাবাহিকভাবেই গত শতাব্দীর শুরুর দিকেও বজায় ছিল।
নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত এই বিশেষ গবেষণাপত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। ১৯৪৫ সাল থেকে ২০১০ সাল এবং ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১০ সাল – এই দুটো সময়সীমার মধ্যে প্রকাশিত তাত্ত্বিক গবেষণা আর পেটেন্টের খবর চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই পার্ক এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। দেখা গেছে, বিগত ধারণা বা তত্ত্বকে ঘষেমেজে নতুন সব গবেষণাপত্র বের করবার প্রবণতা বাড়ছে কেবল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =