‘রহস্য’ বানর নিয়ে জোর গবেষণা

‘রহস্য’ বানর নিয়ে জোর গবেষণা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২০ মে, ২০২২

ব্রেন্ডেন মাইলস। একজন ট্যুর গাইড। ৬ বছর আগে মালয়েশিয়ার বর্নিও-তে কিনাবাতাঙ্গান নদীর পাশ দিয়ে পর্যটকদের ঘোরানোর সময় প্রথম লক্ষ্য করেছিলেন এই ‘রহস্য’ বানর। যার গলাটা সম্পূর্ণ রূপালী! তার সঙ্গে লেজটাও প্রচলিত লেজের তুলনায় মোটা আর লম্বা নাক!

৬ বছর পর সম্প্রতি এই বিরল প্রজাতির বানর নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। অনেক দূরে থাকা দুই ভিন্ন আদিম প্রজাতির বানরের প্রজননের প্রতিফলনে এই বিরল প্রজাতির বানরের সৃষ্টি। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা জার্নাল অফ প্রাইমাটোলজি-তে সম্প্রতি প্রকাশিত এই সংক্রান্ত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আরও পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, প্রোবোসিস প্রজাতির পুরুষ বানরের সঙ্গে রূপালী-গলার মহিলা বানরের প্রজননেই এই বানরের সৃষ্টি। অভিজ্ঞ প্রাইমাটোলজিস্ট নাদিন রূপার্ট বিস্মিত হয়ে মন্তব্য করেছেন, “কিনাবাতাঙ্গান নদীর দু’ধার দিয়ে পাম তেলের চাষ এত বাড়িয়ে ফেলা হয়েছে যে ক্রমশ জঙ্গলের বিলুপ্তি হচ্ছে। বড় গাছ ক্রমশ কমে যাছে। এই অবস্থায় এই বিরল প্রজাতির বানর ওখানে কীভাবে দেখা গেল সেটাই অবাক হওয়ার মত বিষয়। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে শেষবারের মত এই বানরকে দেখা গিয়েছে। একটি মা-বানর আর তার সন্তানকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + four =