রাতের দিল্লির হাওয়াতে বিষ আসে কোত্থেকে?

রাতের দিল্লির হাওয়াতে বিষ আসে কোত্থেকে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১২ এপ্রিল, ২০২৩

বায়ুমণ্ডলের রসায়ন নিয়ে যারা নাড়াঘাঁটা করেন, তাদের কাছে দিল্লি একটা ধাঁধাঁ। পরিবেশবিজ্ঞানের নিয়মকানুন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না দিল্লি শহরে রাতের বায়ুদূষণ। তবে, সম্প্রতি ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের নিয়ে এক গবেষণায় রহস্যভেদ করা গেছে, নেচার জিওসায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র।
গত তিন বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর শিরোপা জুটেছে নয়াদিল্লির কপালে। ভারি মাত্রায় বায়ুদূষণে অকালমৃত্যুর সংখ্যাটাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শীতকালে ছবিটা আরও দুর্বিষহ, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে দূষক কণার বহরটা দাঁড়ায় ৫০০ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্বের অন্য রাজধানীগুলোর সাথে তুলনা করলেই ছবিটা পরিষ্কার হয়। চীনের বেজিং শহরে দূষণের মাত্রা ৭০ মাইক্রোগ্রাম আর জুরিখে মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে।
কিন্তু শীতকালের রাতে দিল্লিতে দূষণের নেপথ্য কারণটা ঠিক কী?
গবেষকরা একটা অভাবিত ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছেন। বিজ্ঞানী ইমাদ এল-হাদাদ বলছেন, রাতে বাতাসে যেসব রাসায়নিক প্রক্রিয়া চলে সেগুলো ভারতের রাজধানীর ক্ষেত্রে একেবারেই আলাদা, পৃথিবীর কোথাও এমনটা দেখা যায় না। গবেষণায় দাবি করা হল, কাঠ পোড়ানোর জন্যেই নাকি এটা ঘটে। শীতকালে রান্না আর আগুন পোহানোর জন্যে গাঙ্গেয় উপত্যকায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ কাঠের ব্যবহার করে। এমন আগুন থেকে গ্যাসের মিশ্রণ সৃষ্টি হয়, আর তার মধ্যে থাকে ক্রেসলের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক যৌগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − five =