সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জে চলতি সপ্তাহে চলা সাধারণ সভার বৈঠকে তথাকথিত ধনী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল দ্বীপপুঞ্জ এবং আর্থিকভাবে অনগ্রসর দেশগুলো। আবহাওয়া পরিবর্তন, আরও পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা কমানো নিয়ে ২০১৫-য় প্যারিসে আলোচনায় বসেছিল আমেরিকা, চিন, ইংল্যান্ড, রাশিয়ার মত পৃথিবীর ধনী দেশগুলো। সেই আলোচনায় উপস্থিত সমস্ত দেশের প্রধানরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্বের উষ্ণতার বৃদ্ধি কিছুতেই ১.৫ ডিগ্রির ওপরে উঠতে দেওয়া হবে না। কিন্তু পরবর্তী পাঁচ বছরে দেখা গিয়েছে সেই প্রতিশ্রুতি শুধু মুখেই ছিল! পৃথিবীর তাপমাত্রার বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই! আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কিত উষ্ণতা যেভাবে বাড়ছে তাতে ২০৫০-এর মধ্যে উষ্ণায়নের জন্য পৃথিবীর বুকে একাধিক মহাপ্রলয় ঘটতে থাকবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে, গায়ানার প্রেসিডেন্ট, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট– প্রত্যেকের মুখে শোনা গিয়েছে ধনী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ। যেমন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে দেড় আর ২ ডিগ্রির মধ্যে ফারাকটা কিন্তু অনেক। ২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের কাছে মৃত্যুদন্ডের মত!” গায়ানার প্রেসিডেন্টের বক্তব্য আরও ধারালো। বলেছেন, “২০১৫-য় প্যারিসে যারা প্রতিজ্ঞা করেছিল দূষণ কমিয়ে উষ্ণায়নের মাত্রা কমাবে, তারা কিচ্ছু করেনি। ওরা পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে! কোভিড-১৯ এর চেয়েও অনেক বেশি লক্ষ মানুষ আগামীদিনে মারা যাবে বিশ্ব উষ্ণায়নে।”