রিসাইকেলের ম্যাজিক

রিসাইকেলের ম্যাজিক

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ২৭ জুলাই, ২০২২

মহিলার নাম মিদুষী কোচার। বাসিন্দা দিল্লির। সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়েছেন পরিবেশবিদদের কাছে। কারণ, বর্জ্যকে রিসাইকেলিং করে তিনি তৈরি করেন ব্যবহারযোগ্য কিছু জিনিস। যেমন ডিমের ফেলে দেওয়া খোসা দিয়ে চায়ের কাপ! বা গাছের ঝরে যাওয়া পাতা দিয়ে চপ্পল!
ছোট্ট থেকেই ‘অন্যরকম’ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ মিদুষীর। মাত্র ৮ বছর বয়সেই তার ঘরে সাজানো থাকত সমুদ্রের ঝিনুক, নদীর রঙিন পাথর, শুকনো ফুল, এমনকী পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে নিয়ে আসা রংবেরঙের সাপের খোলসও! আসলে সাধারণের চোখে যেসব জিনিস গুরুত্বহীন, সেসবই ছিল মিদুষীর চোখে সবচেয়ে দামি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেড়েছে এই অদ্ভুত নেশা। এমনই, যে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার হবেন বলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ আর্টসে পড়তে চলে গেলেন দিল্লির মেয়ে। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্টের জন্য ডিমের খোসা দিয়ে প্রথমবার বানিয়েছিলেন প্লেট, চামচ। সেই শুরু। এরপর ২০২০-তে নেদারল্যান্ডসে নিজের প্রথম ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করলেন। স্থানীয় আবর্জনা সংগ্ৰহ করে তা দিয়ে সেখানকার স্কুলপড়ুয়াদের আর্ট প্রজেক্টে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে শুরু করলেন। সেই উদ্যোগ সফল হতেই দেশে ফিরে গত বছর চালু করে দিলেন ইয়েলেম। যেখানে তার নেশাকে পেশায় রূপান্তরিত করে ফেললেন মিদুষী। ডিমের খোসা থেকে বাসনপত্র, মুরগির পালক দিয়ে তৈরি ঘর সাজানোর সামগ্রী, তার সঙ্গে সম্প্রতি প্রবল জনপ্রিয় হওয়া, ঝরে যাওয়া পাতা দিয়ে তৈরি হাসিরু নামে এক ধরনের চপ্পল-সবই ব্যবসায়িকভাবে চালু করেছেন মিদুষী। দিল্লিতে এখন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশুনো করা ছেলেমেয়েদের কাছে নতুন অনুপ্রেরণা মিদুষী।