
লন্ডনের ট্যাক্সি ড্রাইভাররা শহরের ২৬,০০০ এর বেশী রাস্তা সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান রাখার জন্য বিখ্যাত। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, এবং চ্যাম্পালিমড ফাউন্ডেশনের গবেষকরা এই ট্যাক্সি চালকদের নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা কীভাবে যাত্রাপথ ছকে নেয় তা দেখার জন্য। এটি ভবিষ্যতে এআই (AI) পথ নির্দেশনা প্রযুক্তিকে উন্নত করতে পারে। লন্ডনের ট্যাক্সি ড্রাইভাররা জিপিএস সিস্টেমগুলির চেয়েও দক্ষভাবে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য প্রতিটি সম্ভাব্য পথ গণনা করে পরিকল্পনা করে। তারা প্রথমে সবচেয়ে কঠিন অংশটির পরিকল্পনা করে, তারপর বাকিটা সহজ ভাবেই করে ফেলে। এই চিন্তার ধরনটা খুবই বুদ্ধিদীপ্ত এবং দ্রুত। গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ট্যাক্সি ড্রাইভারদের মস্তিষ্কের একটি বিশেষ এলাকা যাকে বলা হয় পশ্চাদ্দেশীয় হিপোক্যাম্পাস, তা মানুষের গড় আকারের চেয়ে বড়। মূলত তাদের কাজের অভিজ্ঞতাই মস্তিষ্কের এই পরিবর্তনের কারণ।
ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর পাবলো ফার্নান্দেজ ভেলাস্কো বলেছেন, “লন্ডনের জটিল সড়ক ব্যবস্থায় শুধু মাথা দিয়ে পরিকল্পনা করা একটি বিশাল কীর্তি ।” গবেষণাটিতে আরও দেখা গেছে যে ট্যাক্সি ড্রাইভাররা বর্তমান প্রযুক্তির চেয়ে বেশি কার্যকরভাবে তাদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করে এবং তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এআই প্রযুক্তির উন্নতি করা যেতে পারে। চ্যাম্পালিমড ফাউন্ডেশনের ড্যান ম্যাকনামী বলেছেন, “ভবিষ্যতে এআই পথনির্দেশনা, মানবসদৃশ অভিযোজনশীল পরিকল্পনা থেকে উপকৃত হতে পারে, বিশেষত যখন পরিবর্তনশীল সমস্যার সাথে মোকাবিলা করতে হয়। এছাড়াও, মানুষের সাথে কাজ করার জন্য, এআই প্রক্রিয়াকরণগুলিকে মানুষের চিন্তাভাবনা কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে হবে।”