লিথিয়াম ব্যাটারির বাজারের রাশ এবার হয়তো অস্ট্রেলিয়ার হাতে

লিথিয়াম ব্যাটারির বাজারের রাশ এবার হয়তো অস্ট্রেলিয়ার হাতে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

লিথিয়াম – নতুন সোনা বলে ডাকা হচ্ছে এই খনিজ মৌলকে। অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে খুঁড়ে তোলা হয় বিশ্বব্যাপী লিথিয়াম চাহিদার ৫০%। জোগানের অর্ধেকটা ঐ দেশ দিলেও, লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরিতে এতদিন তেমন সুবিধে করতে পারেনি তারা। উৎপাদনের অন্তিম মুনাফার মোটে ০.৫% পকেটে আসতো তাদের। কিন্তু দিন বদলানোর কথাই শোনাচ্ছে ও দেশের ফার্মগুলো।
যেমন, ফিউচার ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রিজ কোঅপারেটিভ রিসার্চ সেন্টার। সংস্থার কর্ণধার শ্যানন ও’রুর্কি বলছেন, লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পে সব দেশই জিততে চায়, কিন্তু টেক্কা আছে অস্ট্রেলিয়ার আস্তিনেই। নিউ সাউথ ওয়েলসের টোমাগোতে মুখ্য একটা ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ফার্মের হিসেব কিন্তু তেমনটাই জানান দিচ্ছে। প্রতি মাসে ৪ মেগাওয়াট-ঘণ্টা ক্ষমতার লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে তারা সফল হয়েছে। এনার্জি রেনেসাঁ আর ওদেশের ফেডেরাল সরকারের যৌথ উদ্যোগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে প্রজেক্ট অ্যাপোলো। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নতুন প্রযুক্তির লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরির জন্যে গবেষণা, পরীক্ষানিরীক্ষা আর যান্ত্রিক উন্নতি।
কয়েক বছর আগে বলা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতে নাকি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন সম্ভব নয়, এমনটা বলছেন এনার্জি রেনেসাঁর প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান ক্রেগহেড। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ক্রেগহেড সাহেব বললেন, দেখাই যাচ্ছে এখন সেটা খুব বেশি করেই সম্ভব। উনি আরও জানালেন, কুইন্সল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় ব্যাটারির গুণগত মান আর নিরাপত্তার দিকটাও পোক্ত করা গেছে।
৩০০ মেগাওয়াট-ঘণ্টার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রেনেসাঁ ওয়ান প্ল্যান্ট চালু হয়েছে। সর্বোচ্চ দক্ষতায় সেটা পৌঁছবে মোটামুটি ৫.৩ গিগাওয়াট-ঘন্টায়। ও’রুর্কি আশাবাদী। ওনার মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে চৌত্রিশ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে লিথিয়াম ব্যাটারির শিল্পে।