উত্তর চিনের রাস্তাপ্রান্তগুলি ফিনিক্স গাছে ভর্তি। প্রতি শরৎকালে বিপুল পরিমাণ পাতা খসে পড়ে গাছগুলি থেকে। জমে থাকা এই বিপুল পাতা সাধারণত শীতকালে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় যা একইসাথে দেশের বায়ুদূষণও বাড়ায়। এই রুটিনে এবার ছেদ পড়ল।
শান্ডং-এর গবেষকরা একটি নতুন উপায় আবিষ্কার করেছেন যাতে এই বর্জ্য পদার্থকে একটি কার্বনজাত দ্রব্যে পরিণত করা যাবে এবং তা ইলেকট্রনিক্স তৈরির কাজে লাগবে। চমকপ্রদ খবরটি বেরিয়েছে জার্নাল অব রিনিউবেল অ্যান্ড সাস্টেনেবল এনার্জি-তে।
গবেষকরা এই প্রকল্পে একাধিক ধাপ অবলম্বন করেছেন- প্রথমে পাতাগুলিকে ইলেক্ট্রোডের ভেতরকার উপযোগী পদার্থে পরিণত করা হয়েছে। এজন্যে শুকনো পাতার রাশি যন্ত্রের সাহায্যে গুঁড়ো করা হয়েছে, তারপর ২২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১২ ঘন্টা ধরে জ্বালানো হয়েছে। এর ফলে তৈরী হয়েছে অতিক্ষুদ্র কার্বন কণিকা, এগুলিকে পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইডের দ্রবণে রেখে ও তাপ দিয়ে পরিণত করা হয়েছে কালো রঙের কার্বন পাউডারে- যার পৃষ্ঠতলের তড়িদধর্ম অত্যন্ত বেশি। এই পাউডারটি অবশেষে ব্যবহৃত হয়েছে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের কাজে।
গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন কুইলু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হংফ্যাং মা। এই গবেষক দলটি ‘বায়ো-মাস’-এর সাহায্যে শক্তি উৎপাদনে আগ্রহী। শুধু গাছের শুকনো পাতাই নয়- আলুর খোসা, ভুট্টার পরিত্যক্ত অংশ, পাইন কাঠ ইত্যাদি দিয়েও ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের কাজে আশাবাদী তাঁরা।