শহরের বুকে গাছ লাগানোর সুফল, আরও পোক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ

শহরের বুকে গাছ লাগানোর সুফল, আরও পোক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

শহরের বুকের গাছপালার ভাগটা যদি শতকরা ৩০ ভাগের বেশি হয়, তাহলে নাগরিক আবহ ঠাণ্ডা থাকে। এমনকি গরমের কারণে ঘটা মৃত্যুর হারও অনেকটা কমতে পারে। ইউরোপ জুড়ে মোট ৯৩টা শহরকে মডেল হিসেবে ধরে গবেষণার ফলাফল এমনই সুখপ্রদ।
স্পেনের ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করলেন এই মর্মে। তাতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে নাগরিক পরিবেশে সবুজের উপকারিতা। স্বাস্থ্যের দিক থেকে সরাসরি কয়েকটা সুফলও তাঁরা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করলেন। জলবায়ু সংকটের ত্রাস যখন ক্রমেই ছড়াচ্ছে, তাপপ্রবাহের মেয়াদও বেড়ে চলেছে। এই স্থায়ী দুর্বিপাকের আবহে শহরের গাছপালা ও বাগানগুলো শুধু অক্সিজেনের উৎসই নয়, বরং নাগরিকদের সুস্থ শরীর ও সামগ্রিক ভালো থাকার চাবিকাঠিও বটে।
গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হল জগৎবিখ্যাত দ্য ল্যান্সেট পত্রিকায়।
বদলে চলা আবহাওয়ার বিপদের সামনে শহরের হাল এমনিতেই নড়বড়ে। উচ্চ জনঘনত্ব, বসতির প্রয়োজনে সবুজ ধ্বংস করা কিংবা রাস্তাঘাট বা বাড়িঘরের মতো কংক্রিট-সর্বস্ব নির্মাণের জন্যে শহরের বুকে তাপ শোষিত হয় বেশীমাত্রায়। আর সেই তাপ সহজে বিকিরিত হতে পারে না। ফলে, একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপে অত্যাধিক উষ্ণতা হলে যেমনটা হয় শহরের ক্ষেত্রেও তা’ই হয়। একে পরিবেশবিজ্ঞানের ভাষায় ‘আরবান হিট আইল্যান্ড’ বলে।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের শহরগুলোতে আশেপাশের মফঃস্বল কিংবা গ্রামের তুলনায় গড়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকে। এই ফারাকটা সবচেয়ে বেশি রোমানিয়ার ক্লুজ-নাপোকা নামের শহরে। সেখানে এই পার্থক্যটা ৪.১ ডিগ্রির।