শকুন সংরক্ষণে এবার নজির সৃষ্টি করল মহারাষ্ট্রের গ্রাম।
মহারাষ্ট্রের রায়গড় অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম চিরগাঁও। সেই গ্রামের মানুষ এককাট্টা হয়েছেন শকুন প্রতিপালনে। তাতে বাড়ছে শকুনের সংখ্যা। ১৯৯৯-২০০০ সালে যেখানে এই গ্রামে শকুনের সংখ্যা ছিল ২২, এই সংরক্ষণের ফলে শকুনের সংখ্যা চলতি বছরে বেড়ে হয়েছে ২৪৯। কিন্তু সব ছেড়ে শকুন কেন? গ্রামের মানুষেরা বলছেন, অনেক জায়গা থেকে শকুন পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে এটা জানতে পেরেই সবাই শকুন বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন।
১৯৮০র দশকে ভারতে প্রায় চার কোটি শকুনের বসবাস ছিল। এদের মধ্যে প্রধান ছিল তিনটি প্রজাতি- সাদা পিঠ, লম্বা-ঠোঁট এবং সরু-ঠোঁট। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা নেমে আসে ১৯০০০ এ। কিছু প্রজাতির ৯০ শতাংশই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
শকুন সংরক্ষণে ২০১৯ সালে জাতীয় শকুন সংরক্ষণ পরিকল্পনা হাতে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিকল্পনায় কেবলমাত্র শকুনের সংখ্যার হ্রাস রোধ করাই নয়, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে শকুনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।