চরম সংকটে আমাজনের বায়ো-ডাইভার্সিটি। আক্ষরিক অর্থে। গত দু’দশকে আমাজনের জঙ্গলে যত রকমের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে তাতে, গবেষকরা জানিয়েছেন, গাছপালা, উদ্ভিদ-সহ বিপন্ন প্রজাতির প্রায় ৮৫ শতাংশ চরম সংকটে! গবেষকদের মতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হওয়ার পরেও এই সংকট সামলানো যেত, যদি প্রশাসনের তরফে ‘ফরেস্ট ইউস’ (বন ব্যবহারের নিয়ম) ঠিকভাবে প্রয়োগ করা যেত। আর বায়ো-ডাইভার্সিটি-র ভারসাম্য ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার একাধিক খারাপ প্রভাব প্রকৃতি এবং সমাজজীবনেও পড়বে। নেদারল্যান্ডসের এক ইকোলজিস্ট এরি স্টালের পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে, জঙ্গলের বায়ো-ডাইভার্সিটির জন্যই খরা আটকায়। গবেষকের মতে জঙ্গলে এমন কিছু বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যারা খরা হলে আর বাঁচে না। স্টাল বলেছেন, “জঙ্গলে আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশ যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে কিন্তু শুধু আমাজনের জঙ্গলটাই একদিন নষ্ট হবে না, আবহাওয়ারও ব্যাপক পরিবর্তন হবে আর তার খারাপ প্রভাব পড়বে ওখানকার বাসিন্দাদের ওপর। একইসঙ্গে জঙ্গলে থাকা বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদেরও ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে।” আর আমাজনের জঙ্গল এত বড় যে মানুষের পক্ষে সেই জঙ্গলে খুঁজে খুঁজে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব কাজ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৯ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে। তাতে আক্রান্ত ৬১০টি ‘বিপন্ন’ প্রজাতির ৮৫ শতাংশ। যার মধ্যে রয়েছে ২৬৪ রকমের উদ্ভিদ, ১০৭ রকমের উভচর প্রাণী এবং ৫৫ রকমের স্তন্যপায়ী প্রাণী।