সংকর প্রজাতির কিছু প্রাণী জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম

সংকর প্রজাতির কিছু প্রাণী জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সংকর প্রজাতির প্রাণীদের সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের ভালো ধারণা খুব একটা নেই, ঘোড়া আর গাধার সংকর খচ্চর বা বাঘ সিংহের সংকর সিংঘ্র কীভাবে সংরক্ষণের কাজে লাগে তা সাধারণভাবে বোঝা সম্ভব নয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে রেনবোফিস, মাছের প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। রেনবোফিসের প্রাকৃতিক সংকরায়নে দেখা গেছে, সংকরায়িত প্রজাতির ক্ষেত্রে সেই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাচ্ছে। তাই এই সংকরায়িত প্রজাতি সংরক্ষণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্রের জিনতত্ত্ববিদ অধ্যাপক লুসিয়ানো বেহেরেগারে বলেছেন, এই ধরনের অনুসন্ধানগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য ভালো। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, জেনেটিক মিশ্রণের ফলে, স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এই প্রজাতির যে বিবর্তন হচ্ছে, তা তাকে জলবায়ু পরিবর্তনে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করছে।
গবেষকরা অভ্যন্তরীণ উত্তর কুইন্সল্যান্ডের আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে রেনবোফিসের পাঁচটা প্রজাতি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, মেলানোটেনিয়া প্রজাতির মাছ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়। তাদের জিন বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে রেনবোফিসের জিনে কী বিবর্তন হয়েছে। তাদের বাসস্থান এবং পরিবেশগত মডেলগুলিও বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে রেনবোফিসের জন্য কতটা বিবর্তনের প্রয়োজন হবে। কোথায় দুটো প্রজাতি মিলেছে, তাদের সংকর তৈরি হয়েছে, এটাও তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন।
গবেষকরা তাদের গবেষণাপত্রে বলেছেন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সংকর প্রজাতির ভূমিকা বিতর্কিত কারণ পিতামাতার প্রজাতির জিনের শুদ্ধতা তাতে থাকে না, পাশাপাশি নীতি এবং আইনী অনিশ্চয়তাও থাকে।
এই সব সমস্যা থাকলেও, নির্দেষ্ট কিছু ক্ষেত্রে, সংকরায়ণ প্রাকৃতিক হলে আর দীর্ঘ ব্যাপ্তিকালের মধ্যে তা ঘটলে তাতে এইসব উদ্বেগ কম থাকে।