কোনও দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হলে অর্থনীতির পাশাপাশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষা, বিজ্ঞান আর স্বাস্থ্য। এখন সেটাই হচ্ছে আফগানিস্তানে। বিজ্ঞানী, গবেষকেরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন দলে দলে। ল্যাবোরেটারিতে যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম সব ফেলে রেখে প্রাণ বাঁচাতে দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে বিজ্ঞানী, গবেষকদের মধ্যে। কাবুলের দখল নেওয়ার পরে বিজ্ঞান গবেষণা নিয়ে তালিবানরা কোনও ফতোয়া জারি করেনি। কোনও বিজ্ঞানীর উপরে হামলাও হয়নি। হামলাহয়নি কোনও গবেষণাগারে। কিন্তু পুরনো তালিবানি আমলের কথা মনে রেখে দেশে থাকতে আর ভরসা পাচ্ছেন না আফগানিস্তানের বিজ্ঞানী-গবেষকেরা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এই পাঁচ বছরের তালিবান জমানাকে নাৎসি বাহিনীর জার্মানির সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকে। বন্দুকের নলের চোখরাঙানি তে আইনস্টাইনকে জার্মানি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল ইংলন্ডে। ঠিক এই ভাবেই ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছিল তালিবানরা। আগের তালিবান জমানায় ফতোয়া অমান্য করলেই মৃত্যুদন্ড দেওয়া হত। ২০ বছর পর এখন তালিবানরা অবশ্য বলার চেষ্টা করছে তারা কিছুটা উদারপন্থী হয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করছেন না বিজ্ঞানী-গবেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, তালিবানরা বিজ্ঞানকে স্বীকার করতে চায় না! তাই ইউরোপ এবং মার্কিন সেনা চেষ্টা করছে সমস্ত আফগান বিজ্ঞানী ও তাঁদের পরিবারদের একত্রিত করে কাবুল থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার।