সঙ্গমের পর নিজেদের মেরে ফেলে অক্টোপাস

সঙ্গমের পর নিজেদের মেরে ফেলে অক্টোপাস

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৬ মে, ২০২২

স্থলের মানুষের কাছে অক্টোপাস মানে আতঙ্ক, ঘেন্না। আবার সেই মানুষ জলের নীচে গিয়ে একই অক্টোপাস দেখলে মুগ্ধ হয়ে যান প্রাণীর রঙের বাহারে, ছদ্মবেশ ধরার দক্ষতা দেখে। সেই অক্টোপাস সম্পর্কে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেল অজানা এক তথ্য। সঙ্গমের পরই একে ওপরের ওপর অত্যাচার করে নিজেদের মেরে ফেলে অক্টোপাসেরা! সঙ্গমের পর প্রথমে মেয়ে অক্টোপাসের এবং তারপর পুরুষদের শিরচ্ছেদ করা হয়)। বিজ্ঞানীদের মতে মা অক্টোপাসেরা ডিম পাড়ার সময় ঘটে যাওয়া রাসয়নিক পরিবর্তনের কারণে মিলনের পরই নিজেদের ওপর অত্যাচার করে। ১৯৭৭-এ হওয়া অন্য এক গবেষণাকেও উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে অক্টোপাসের চোখের কাছে কিছু গ্রন্থি থাকে। সেটাই ওদের বাধ্য করে নিজেদের মেরে ফেলতে। গবেষকদের মতে অক্টোপাসেরা আসলে স্টেরয়েড তৈরি করে। ডিম পাড়ার সময় যার উৎপাদন তীব্র হয়ে ওঠে। সেই কারণে অক্টোপাসেরা নিজেদের ওপর নির্যাতন করতে বাধ্য হয়।

তবে নতুন গবেষণা থেকে তিনটি আলাদা রাসয়নিক পরিবর্তন সম্পর্কে জেনেছেন গবেষকরা। মা অক্টোপাসেরা ডিম পাড়ার সময় সেগুলি তার ওপর দিয়ে যায়। এটা গবেষকদের মতে শুরু হয় প্রেগ্নেনেলোন ও প্রোজেস্টেরন বৃদ্ধির সঙ্গে। দ্বিতীয়ত, অক্টোপাসেরা উচ্চ মাত্রার ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল উৎপাদন করে। সঙ্গম শেষ হওয়ার পরই এই উৎপাদন শুরু হয়। কোলেস্টেরলেরই একটি বিল্ডিং ব্লক এই ডিকোলেস্টেরল। এটি অত্যন্ত বিষাক্ত একটি রাসয়নিক পদার্থ। তৃতীয়ত, অক্টোপাসের অপটিক গ্রন্থিগুলো পিত্ত অ্যাসিড তৈরি করে। এই সমস্ত রাসয়নিক পরিবির্তনের ফলেই সঙ্গমের পর অক্টোপাসেরা আকস্মিকভাবে আরও উগ্র হয়ে নিজেদের ওপর অত্যাচার করে নিজেদেরই মেরে ফেলতে কিছুটা বাধ্য হয়।