সত্যিকারের সুপ্রভাতের চার দাওয়াই

সত্যিকারের সুপ্রভাতের চার দাওয়াই

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ২১ মার্চ, ২০২৩

একদিন যতটা সজাগ আমরা থাকি, পরের দিনটা কেন তেমন থাকে না? এদিক ওদিক হয় কেন? – স্নায়ুবিজ্ঞানী আর নিদ্রা বিশেষজ্ঞ রাফায়েল ভ্যালাট প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে ক্যাম্পাসের গবেষকদের একটা দল প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলেন।
৮৩৩ জন মানুষ যোগ দিয়েছিলেন পরীক্ষায়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল যমজ। ফলে জিনবৈচিত্র্যের সমস্যাটা ছেঁটে ফেলা গিয়েছিল। দু সপ্তাহ ধরে তাদের খাওয়াদাওয়া, শারীরিক সক্রিয়তা, ঘুমের প্যাটার্ন এবং দেহে শর্করার পরিমাণের তথ্য নিয়ে জড়ো করা হয়। আবার দিনের মধ্যে যখনতখন কতটা সজাগ আছে তারা সেটাও রেট করা হয়েছিল। তা থেকেই উঠে এসেছে চার দাওয়াই।
প্রথমত, ঘুম কেমন হচ্ছে সেটা প্রথম নির্ধারক বিষয়। কখন ঘুমোচ্ছে, কতক্ষণ ঘুমোচ্ছে আর শেষরাতের ঘুম কতটা গাঢ়? স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমলে বা একটু দেরিতে উঠলে সকালের তৎপর মেজাজটা ভালো থাকে।
দ্বিতীয়ত, সারাদিনে শারীরিক পরিশ্রম কতটা হচ্ছে? দেখা গেছে রাতের আগে যতটা নড়াচড়া হবে দেহের ততই নির্বিঘ্ন টানা ঘুম হবে। এতে সকালের সজাগ অবস্থাটা বেশি কার্যকরী থাকে।
তৃতীয়ত, প্রাতরাশের ধরণ কেমন? সকালের খাবারে কার্বোহাইড্রেট পরিমাণে বেশি থাকলে বাকি দিনটায় তৎপরতার মাত্রাও উঁচুতে থাকবে। কিন্তু প্রোটিনের ভাগটা বেশি হলে ঠিক উল্টোটা হবে।
শেষে, প্রাতরাশের পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে সজাগ ভাবটা কম হবে। কিন্তু সেটাই যদি কম থাকে তাহলে সেটা উপকারে আসবে।