সবুজ ভবিষ্যতের পথে চীন

সবুজ ভবিষ্যতের পথে চীন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

 

কিছু দিন আগে একটি ভিডিও সারা ইন্টারনেট দুনিয়াকে তাজ্জব করে দিয়েছিল। মরুভূমি অঞ্চলে, গাছ লাগানো হচ্ছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই তা তরতর করে বড় হয়ে একটা অরণ্যবেল্ট তৈরি হয়ে যাচ্ছে। রুক্ষ শুষ্ক মরু অঞ্চলে, গাছ বড় করা মুখের কথা নয় ! এদিকে সেই বাঞ্জারা জমিতে, সবুজের বাহার এনে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে চীন।

বালি-অবরুদ্ধ সবুজ বেল্ট। বিশ্বের বৃহত্তম বনায়ন উদ্যোগের ক্ষেত্রে চীন নজির গড়লো। তাকলিমাকান মরুভূমির চারপাশে ৩,০৪৬ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে মরুভূমি অঞ্চলক্র সবুজভূমি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে তারা। মরুভূমির দখল বন্ধ হোক, পরিবেশগত অবস্থার উন্নতি হোক- এই লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে চালু করা হয় গ্রিন বেল্ট। থ্রি-নর্থ শেল্টারবেল্ট ফরেস্ট প্রোগ্রাম (TSFP)। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে বনায়ন, জীববৈচিত্র্যকে নিরাপদ রাখতে এবং মাটিকে স্থিতিশীল রাখতে এই কর্মসূচী চলবে, ২০৫০ সাল অবধি।

কার্বন সিকোয়েস্টেশন, অর্থাৎ বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের জমা হওয়াকে রুখতে, মারাত্মক বালির ঝড় এবং পরিবেশগত অবক্ষয় রুখতে টিএসএফপি ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ গাছ রোপণ করেছে। এখনও অবধি প্রায় ৩২০ লক্ষ হেক্টর জমি বনায়ন করা হয়েছে।
শুধুমাত্র তাই নয়, সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জন ম্যানিং, পরিবেশগত কারণের সাথে যুক্ত সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বোঝার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এই প্রসঙ্গে। পরিবেশগত পরিস্থিতি কীভাবে মানুষের আচরণ এবং স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং সেক্ষেত্রেও এই বনায়ন কর্মসূচি কতটা উপকারে আসতে পারে, তার উপর বিস্তৃত দৃষ্টিপাত করেছেন।

বনায়ন এবং পরিবেশগত পুনরুদ্ধারে বিশ্বনেতা হিসাবে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করতে উপমা হবে – এই কর্মসূচী।