সবুজ সোনা – কয়লা আর পেট্রোলিয়ামের বিকল্প

সবুজ সোনা – কয়লা আর পেট্রোলিয়ামের বিকল্প

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ৩০ মার্চ, ২০২৩

কাঠের টুকরো, আখের ছিবড়ে, সামুদ্রিক শৈবালের ঝাড় – বায়োমাসের উৎসের অভাব নেই। কিন্তু বায়োমাস থেকে জ্বালানি তৈরি করাটা তো পরশমণি ছুঁইয়ে হবে না। বায়োমাস প্রক্রিয়াকরণকে ইংরাজিতে বলে টরেফ্যাকশান। অর্থাৎ প্রথমে উপাদানগুলোকে শুকনো করে অতিউষ্ণ বাষ্প আর রাসায়নিকের প্রয়োগে জ্বালানির উপযুক্ত করে তোলা। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এস্তোনিয়ার একটা স্টার্টআপ সংস্থা নিউ স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল তাদের প্রোটোটাইপ পেশ করেছে। নাম দিয়েছে ‘গ্রিন গোল্ড’।
নিউ স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল যে পদ্ধতিটা গ্রহণ করেছে সেটা কিন্তু নতুন নয়। জার্মানির স্টুটগার্টে ফ্রনহফার ইন্সটিটিউটে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়েই রাসায়নিক শিল্পক্ষেত্রের জন্য বায়োকোল (জৈবকয়লা) কিংবা জল প্রস্তুত করা হয়। উদ্ভিদনির্ভর বায়োমাস পরিবেশবান্ধব। কৃষিক্ষেত্র আর জঙ্গল থেকেই প্রয়োজনীয় উপাদান মিলবে। তারপর জৈবপ্রযুক্তি কিংবা রাসায়নিক পরিবর্তনকে হাতিয়ার করে সেই সব উপাদান থেকে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে নেওয়া যায়। তবে তাতে বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়।
এস্তোনিয়ার স্টার্টআপ কোম্পানি নিউ স্ট্যান্ডার্ড ওয়েল একটা একক পদ্ধতির মধ্যে বায়োমাসের সবটুকু ব্যবহার করে নিচ্ছে। সেটাই এই সংস্থার বিশেষত্ব। তাপপ্রয়োগের মাধ্যমে বিশোধন আর টুকরো করা হয় বায়োমাসকে। তারপর তা থেকেই আসে ‘গ্রিন’ কেমিকালস। আর কোনও অবশিষ্ট পড়েও থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + four =