সভ্যতার কুশীলবদের কথা ও কাহিনী

সভ্যতার কুশীলবদের কথা ও কাহিনী

অভিজিৎ চৌধুরী
Posted on ২৫ এপ্রিল, ২০২২

[ আসন্ন ১লা মে ২০২২ উপলক্ষে রচিত এই প্রতিবেদন ]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপান্তে একটি নতুন শব্দ উচ্চারিত হতে থাকে যার পোশাকী নাম “নয়া উপনিবেশবাদ” । এই নয়া উপনিবেশবাদেরই সন্তান “নয়া দাসত্ববাদ” । আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে শ্রমিক ও তার জন্য অনেক সুরক্ষার আইন আছে কিন্তু কার্যত সবই কুহেলিকা । আইন আছে, প্রয়োগ নেই । বিচার ব্যবস্থা আছে কিন্তু বিচার নেই । নয়া দাসত্ববাদের বে-আব্রু নগ্ন চেহারা বেরিয়ে পড়েছে করোনা আতঙ্কিত এবং তার পরবর্তী পৃথিবীর সর্বত্র ।ভারতবর্ষের মাটিতেও শ্রমজীবী মানুষের লাঞ্ছনার ছবি আজ সর্বত্র বিরাজমান । নয়া দাসত্ববাদের শৃঙ্খলিত শ্রমজীবী মানুষ ।

কেউ কথা রাখেনি – সর্বহারা পরিযায়ী শ্রমিক

মধ্য গগনে নিঃসঙ্গ সূর্যের কিরণ বর্ষার ফলকের মত নেমে আসছে রাস্তার ওপর, তারই মধ্যে হেঁটে চলেছে সন্তান কাঁধে নিয়ে সর্বহারা পরিযায়ী শ্রমিক । ২৪শে মার্চ ২০২০ করোনা আতঙ্কে কেন্দ্রীয় সরকার লক ডাউন ঘোষণা করল যার ফলে সমস্তরকম উৎপাদন প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে গেল । মুহূর্তের মধ্যে ভারতবর্ষের ক্ষেতে খামারে কলকারখানায় নির্মাণকার্যে বা খনিতে নিযুক্ত সমস্ত শ্রমিক কর্মহীন হল । আর এঁরা যাদের কাছে কাজ করতেন তারা সমস্তরকম দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে পরিযায়ী শ্রমিকদের খোলা আকাশের নীচে নামিয়ে দিল । তার পরের ইতিহাস এক মর্মান্তিক ইতিহাস । লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর, থাকার জায়গা নেই, নিজেদের সামান্য সম্বল নিয়ে নিজেদের বাসস্থানে ফেরার জন্য ব্যাকুল কিন্তু রাজ্য বা কেন্দ্রের হিমশীতল নীরবতা পরিযায়ী শ্রমিকদের আর বঞ্চনাকে কেবলমাত্র প্রলম্বিতই করল ।

এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে শ্রমিক নিয়ে যাওয়া ভারতের ইতিহাসে কোন নতুন ঘটনা নয় । এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসেও দাসব্যবস্থা বা ক্রীতদাস প্রথা হল আজকের পরিযায়ী শ্রমিকদের আদিম অবস্থা । পৃথিবী জুড়ে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে চালু রাখতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে জোর করে শ্রমিক নিয়ে যাওয়া নতুন কোন ঘটনা নয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ অন্তর্গত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা তৈরী হয় এবং এই আন্তর্জাতিকশ্রমিক সংস্থা পৃথিবী জুড়ে শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য একটি সনদ তৈরি করেন এবং পৃথিবীর সমস্ত দেশকে এই সনদ অনুযায়ী শ্রমিক কল্যাণের জন্য আইন তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয় । স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষের বুকেও কমপক্ষে ৪৪টি আইন তৈরী হয় শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য । পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্যও আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমজীবী আইন ১৯৭৯ সালে তৈরী হয়, যে আইনে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে রাজ্যের কোন শিল্প বা কলকারখানায় অন্য রাজ্যের শ্রমিককে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করলে শ্রম দপ্তরের অনুমতি নিতে হবে । কিন্তু আইন সৃষ্টি হবার পর ৪১ বছর অতিক্রান্ত কিন্তু আজও কোন রাজ্য বা কেন্দ্রের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকের সুনির্দিষ্ট সংখ্যাতত্ত্ব নেই । আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমজীবী আইনে শ্রমিকদের ন্যয্য মজুরী, তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার বন্দোবস্ত সহ তাদের সুরক্ষার কথা বলা আছে । কিন্তু বাস্তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কোন বন্দোবস্তই নেই । ২০১৩ থেকে চন্দননগরের আইনী সহায়তা কেন্দ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর একটি সমীক্ষা চালান । তাতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে কারখানা, ইটখোলা বা খনি শিল্পে নিযুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কোন পরিসংখ্যান নেই । অবশ্য এই অবস্থা প্রায় সমস্ত রাজ্যেই । কেবলমাত্র কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কমবেশী প্রশাসনিক তৎপরতা বর্তমান । এই ব্যাপার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কয়েকদফায় আইনী নোটিশ দিলে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্যে আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমজীবী আইন লাগু করার কথা বললেও তা কার্যকর হয়নি । বিপর্যস্ত করোনা পরিবেশে পরিযায়ী শ্রমিকদের চরম দুরবস্থা প্রমাণ করল আইন থাকলেও তাকে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর তরফে কোন উদ্যোগ নেই । সম্প্রতি অনেক রাজনৈতিক দলই এই ব্যাপার নিয়ে অনেক বিবৃতি দিচ্ছেন কিন্তু এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি কোন না কোন সময়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিলেন কিংবা রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা পালন করেছেন । তখন কারোর মনে হয়নি আইনটি কার্যকরী করতে হবে ।

ফলতঃ ভারতবর্ষ জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকের দল বেঁচে থাকার তাগিদে কয়েকশো মাইল অতিক্রম করে ঘরে ফেরার চেষ্টা করেছেন । রাজপথে নিরন্ন হতাশাগ্রস্থ এই মানুষের দাবি সম্ভবতঃ এর আগেও ভারতবর্ষের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছিল ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় । ছিন্নমূল মানুষের সেই পথচলার ছবি আরো একবার ফুটে উঠেছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘিরে । ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তথা উৎপাদন প্রক্রিয়ার মালিকরা যথেষ্টই অবগত আছেন এই পরিযায়ী শ্রমিক না থাকলে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা থমকে যাবে আর শ্রমিকরাও জানেন, গ্রামে তাঁদের কাজ নেই, কাজের প্রয়োজনে তাঁদের আবার ফিরতে হবে হয়তো অন্য কোন রাজ্যে । একবিংশ শতাব্দীর নয়া দাসত্ববাদের শৃঙ্খলে ওরা আবদ্ধ । উত্তরণের পথ ওদের জানা নেই, তবু জীবনযুদ্ধের ওরা অপরাজেয় সৈনিক । ওরা কাজ করে নগরে বন্দরে । ২০২০ র পর কেটে গেছে অনেকটা সময় । …

সংগঠিত শিল্পের শ্রমিক – এক বঞ্চনার অধ্যায়

ভারতবর্ষের শ্রমজীবী মানুষের কেবলমাত্র ৫ থেকে ৬ ভাগ সংগঠিত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত । সংগঠিত শিল্প বলতে আমরা বুঝি শ্রমিক আইন অনুযায়ী যে সমস্ত উৎপাদন প্রক্রিয়া কলকারখানা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে অর্থাৎ একই ছাদের তলায় বা সংস্থায় কমপক্ষে ১০জন শ্রমিক কাজ করে । পশ্চিমবঙ্গের বুকে সর্ববৃহৎ সংগঠিত শিল্প পাটশিল্প ও চা শিল্প এবং তারপরেই চর্মশিল্প, লৌহ-ইস্পাত শিল্প, কয়লাশিল্প সহ বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প । করোনা বিপর্যয়ের পরেই কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার ঘোষণা করেন যে প্রত্যেক শিল্প সংস্থাকে তার শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে । কিন্তু কার্যতঃ কেন্দ্র বা রাজ্যের এই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মালিকরা বেশ ভালো-ই সময় কাটাচ্ছেন কারণ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের শিল্প মালিকরা জেনে গেছেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাতে যত আইনই থাকুক না কেন সেই আইন না মানলে মালিকের কোন সমস্যা নেই ।

করোনা অতিমারির সময়ে উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল এবং সেই সুযোগ নিয়ে মালিকরা সবরকম সরকারী নির্দেশকে অমান্য করে বেতন দেওয়া বন্ধ রেখেছলেন । বিভিন্ন জুটশিল্প, হোসিয়ারী শিল্প ও বেসরকারী কারখানার মালিকরা বেতন দেননি । এ ব্যাপারে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও আইন সহায়তা কেন্দ্র শ্রমদপ্তরের কাছে মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একটি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি । মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার রাষ্ট্রীয় চরিত্র নতুন কোন ঘটনা নয় । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য কেবলমাত্র জুটশিল্পেই অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা গ্র্যাচুইটি পাওনা শ্রমিকদের । কিন্তু বিগত দশ বছরের মধ্যেও একজন মালিকের বিরুদ্ধেও শ্রমদপ্তর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি । শ্রমিক ছাঁটাই, অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা এতো নিত্যদিনের ঘটনা । কিন্তু বিগত দশ বছরের মধ্যে একজন মালিকও শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য জেলে যাননি । কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিকরাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং অনেক ক্ষেত্রেই হাইকোর্টের নির্দেশে কতিপয় শ্রমিক হয়তো টাকা আদায় করতে সমর্থ হয়েছেন । কিন্তু সে সংখ্যা বড়ই নগণ্য ।

করোনা জনিত অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে উত্তরণের দোহাই দিয়ে বেশ কয়েকটি পরিবেশ এবং শ্রম আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে । একথা অনস্বীকার্য যে ফলশ্রুতিতে অন্ততঃ আইনগতভাবে শ্রমিকদের অবস্থান পূর্বের চেয়ে আরও বেশ অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে । কতখানি কার্যকরী হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এর আগে অন্ততঃ আইনগুলি ছিল । এখন পরিস্থিতি শ্রমিকদের দিক দিয়ে আরও অনেকবেশি সংকটজনক ।

বিশ্বব্যাপী মন্দার চাপে সংগঠিত শিল্পের কি অবস্থা হবে কোন অর্থনীতিবিদই সঠিকভাবে অনুমান করতে পারছেন না । অর্থনীতিবিদদের মধ্যে কথাবার্তা চলছে । কিন্তু প্রশ্নটা হল রাষ্ট্র কি তাঁদের কথা শুনবে না ধর্মীয় ভাবাবেগে ভেসে রাষ্ট্র চালানোর উদ্যোগ নেবে অথবা প্রচার সর্বস্ব নীতির মধ্যেই চলতে থাকবে ! প্রকৃত সমাধান অর্থনীতিবিদরা হয়তো দিতে পারেন কিন্তু এখন দেখার, রাষ্ট্র তাকে গ্রহণ করে কিনা । তবে একথা ঠিক পৃথিবী জুড়ে যে হাহাকার তৈরী হয়েছে তার যদি সুষ্ঠু সমাধানের পথে রাষ্ট্র অগ্রসর না হয় তবে প্রলয় অবশ্যম্ভাবী কারণ মনে রাখা দরকার ক্ষুধা কোন আইন মানে না !

অসংগঠিত শ্রমিক – অনিশ্চয়তার যাত্রী

ভারতবর্ষের শ্রমজীবী মানুষের প্রায় ৯৫ ভাগই অসংগঠিত শ্রমিক যারা প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় । যাদের আমরা দেখেও দেখি না, যাদের কথা আমরা ভুলেও ভাবি না । আমাদের বাড়ির গৃহ-পরিচারিকা, বাড়ির সাফাইকর্মী, কুড়ানি, নির্মাণ শ্রমিক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, মুটিয়ামজদুর, ড্রাইভার, খালাসী, ধোপা, নাপিত সহ অসংখ্য পেশায় হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ নিযুক্ত । আমাদের জীবনের সুখ দুঃখতে ওরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত । ওদের না আছে নিয়োগপত্র, না আছে ভবিষ্যতের দিশা । যতদিন গতর চলে ওরা খেতে পায় তারপর দাঁড়িয়ে থাকে মৃত্যুর প্রতীক্ষায় । চিকিৎসার কোন সুযোগ নেই । বড় জোর সরকারী হাসপাতালের বিনামূল্যের বেডে শুয়ে মৃত্যুর প্রতীক্ষায় থাকে । করোনা ভাইরাসের সময়ে এরা সর্বাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল । এদের কে বেতন দেবে ? কারণ এদের কোন সুনির্দিষ্ট মালিক নেই । না আছে কোন নির্দিষ্ট সংস্থা যেখানে গিয়ে ওরা বেতন চাইতে পারে । সরকারের বহুবিধ নির্মাণকাজে অথবা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রের নির্মাণের সঙ্গে ওরা যুক্ত । এঁদের সকলেরই অবস্থা একইরকমের সংকটজনক । ফলতঃ ভারতবর্ষের প্রায় ৯৫ভাগ শ্রমিক এক নিদারুণ অনিশ্চয়তার শিকার । অতিমারির সময়ে এঁদের বিষয় নিয়ে কয়েকটি আবেদনপত্র সরকারী দপ্তরে জমা পড়েছিল আর্থিক অনুদানের জন্য কিন্তু বিশেষ কোন সরকারী উদ্যোগ চোখে পড়েনি । অসংগঠিত শ্রমিকরা তাকিয়ে থাকেন বড় বড় হোর্ডিংয়ের দিকে যেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সরকার সর্বদা শ্রমিকের পাশে । এক চরম লাঞ্ছনা আর বঞ্চনা নিয়েই এদের চলতে হচ্ছে । এখন এদের ভরসা কেবলমাত্র ভিক্ষাপাত্র, কখন কে কোথায় ত্রাণ দিচ্ছে তার জন্য দৌড়ে বেড়াচ্ছে । বড় কঠিন সময় । এক অদ্ভুত আঁধার নেমে এসেছে এই শ্রমিকদের ভবিষ্যতে ।

সর্বশেষে আবার সেকথাই বলতে হয়, নয়া দাসত্ববাদের যুগে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় শ্রমিক স্বাধীন কিন্তু কার্যতঃ সে সমাজের একটি শ্রেণীর কাছে শৃঙ্খলিত ও আবদ্ধ । এই শৃঙ্খলকে কেউ দেখতে পায়না কিন্তু শ্রমিক অনুভব করে তন্তুতে তন্তুতে । তবু জেগে থাকে আশা । শৃঙ্খল ভাঙার আশা স্পন্দিত হয় শ্রমিকের বুকে । কবিগুরুর আশা ধ্বনিত হয় আমাদের বুকে – “নিদ্রিত ভারত জাগে” । একই সুরে আমরাও বিশ্বাস করি – “দারুণ বিপ্লব-মাঝে তব শঙ্খধ্বনি বাজে”