সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়ছে, কিন্তু বাদ পড়ে যাচ্ছে কি কোনও নেপথ্য কারণ?

সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়ছে, কিন্তু বাদ পড়ে যাচ্ছে কি কোনও নেপথ্য কারণ?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কেবল গবেষক মহল নয়, অ্যান্টার্কটিকার ডুমসডে হিমবাহ নিয়ে অনেকেরই দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বরফের পাতের জ্যামিতি, ফাটল বা গলে যাওয়ার ধাঁচ নিয়ে কম্পিউটারে মডেল তৈরি করে চর্চা জারি। তা থেকেই বোঝা যায় ঠিক কোন কোন কারণে বরফ গলার প্রক্রিয়া শুরু হয় বা ত্বরিত হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীদের ধন্দ ছিলই। কোনও বিশেষ পয়েন্ট কি চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে?

উত্তর দিচ্ছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তুষারপৃষ্ঠের ভবিষ্যৎ ঠিক করে আরও একটা বিষয়। ভূপৃষ্ঠ আর হিমবাহের সংযোগস্থল। অর্থাৎ মাটির যে অংশের উপর বরফের স্তূপ দাঁড়িয়ে থাকে। কতটা গলছে এই পৃষ্ঠতল, সেটা এতদিন নজর এড়িয়ে গেছে বিজ্ঞানীদের।

হিমবাহের বরফের স্তরের নীচের এই অংশটা খুব বেশি গলছে না। তবে পরেও যে এটা গলবে না এমন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বৃহদাকার হিমবাহ, যেমন অ্যান্টার্কটিকার থোয়েটসের ক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠের এই অংশ গলতে শুরু করলে সমুদ্রতলের উচ্চতা যে অনেকটাই বেড়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই। নেচার পত্রিকায় গত ১৪ই সেপ্টেম্বর এই প্রতিবেদনটা প্রকাশিত হয়েছে।

এ কাজে প্রধান গবেষকদের একজন ছিলেন স্ট্যানফোর্ডের ভূপদার্থবিদ ডাস্টিন শ্রোয়েডার। প্রোফেসর শ্রোয়েডারের মতে, আজ যা জমে বরফ হয়ে আছে তা চিরকালের জন্যে জমে থাকবে না।