সাক্ষাৎকার/৩

সাক্ষাৎকার/৩

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রশ্ন হল বিজ্ঞান পড়বে কারা!

(পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক পলাশ বরণ সালের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বিজ্ঞানভাষের মুখ্য সম্পাদক অভিজিৎ ‌চৌধুরী। এ সপ্তাহে তৃতীয় পর্ব)

ডাঃ চৌধুরী: অধ্যাপক পাল, বিজ্ঞান যে পরিপক্ব হয় ধাপে ধাপে, সেই প্রসঙ্গে আপনি অবতারণা করলেন বিজ্ঞান সাংবাদিকতার এবং বিজ্ঞানের খবর পরিবেশনের প্রশ্নে, আমি এখানে চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হিসেবে প্রতিদিনের জীবনে উদাহরণ দিতে চাই। গত দেড় বছর ধরে আমরা করোনা নিয়ে যত না বিজ্ঞান শুনেছি, তার থেকে বেশি অপবিজ্ঞান, ভ্রান্ত ধারণাঢ় উথালপাতাল হয়েছে। এইটা হত না যদি না প্রত্যেক বিজ্ঞানীর মাথায় প্রতিদিন চলমান ভাবনাগুলো যেভাবে সংবাদপত্রে অথবা মিডিয়াতে এসে পড়েছে, সেটা না হত। কাজেই বিজ্ঞান সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে আপনি যে সতর্কতার কথা, পরিপক্বতার কথা বললেন, সেইটা ভীষণ জরুরি। এবং আমার মনে হয় এদিকে একটু নজর দিতে পারলে মানুষের কাছে বিজ্ঞান পৌঁছনোর ক্ষেত্রে আমরা মানুষের কল্যাণ করব বোধ হয়, এবং সেটা অধ্যাপক পাল যেভাবে বললেন, [তার সঙ্গে] আমরা সম্পূর্ণ সহমত।
আমরা একটা জিনিস এগোচ্ছি, আপনার কি মনে হয়, এই যে আমরা কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি নিয়ে ছোটবেলা থেকে বাচ্চারা প্রত্যেকদিন আলোড়িত হয়, আমরা বয়স্করাও প্রত্যেকে আলোড়িত হই, কল্পবিজ্ঞানের যে কাহিনিগুলো আমরা উপস্থাপিত করি, সেগুলো বিজ্ঞানের মূল ধারাকে, বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে, সহায়ক হয়? নাকি বিজ্ঞানের মূল ধারাকে লঘু করে? আপনার নিজস্ব অভিমতটা জানতে চাই…

অধ্যাপক পাল: হ্যাঁ, আমি অভিমতটা দেব, তবে তার আগে করোনা সম্বন্ধে একটা লাইন আমি যোগ করতে চাই।
ডাঃ চৌধুরী: বলুন।
অধ্যাপক পাল: দেখুন, করোনার ব্যাপারটা আপনি একজন চিকিৎসক হিসেবে আপনার কাছে যেভাবে প্রতিভাত হয়েছে, আমাদের কাছে তো ঠিক সেইভাবে হয়নি। আমরা মানে কী বলব, একটা জরুরি অবস্থার মতো একটা অবস্থায় এসেছিল। সেটার জন্য লোককে তো কিছু দিতে হবে। [বিজ্ঞানীদের] কিছু বলতেই হবে। সেই কিছু বলাতে আমরা কিন্তু উপকৃতও হয়েছি। এই যে হাত ধুতে হবে এতবার করে, এগুলো তো আমরা ডাক্তারদের কাছ থেকেই শুনেছি। এবং তাতে অন্তত আমাদের তো খানিকটা খানিকটা উপকার হয়েছে। তারপর তো যখন করোনার টীকা এসেছে, টীকা নেওয়া কিন্তু কিছু কিছু জিনিসের কী বলব, আবেদন এমন হয় যে সেখানে সেই মুহূর্তে কিছু কথার প্রয়োজন আছে বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে। যে অন্তত এইটুকু করুন, তারপরে আমাদের ভাবতে দিন। কাজেই সেইটা বোধ হয় ওখানে খানিকটা দরকার ছিল। আশা করি আপনিও মানবেন যে একেবারে চুপ করে বসে থাকাটা হয়তো ঠিক হত না।
এবার আপনি আমাকে যে প্রশ্নটা করলেন, সেটা সম্পর্কে বলি, দেখুন কল্পবিজ্ঞান সম্বন্ধে আমার একটা বেশ বড় রচনা আছে, ‘বিজ্ঞান এবং’ বইয়ের মধ্যে সেটা রয়েছে, সেখানে আমি এই কথা বলেছি যে কল্পবিজ্ঞান বলতে যে সমস্ত কাহিনীকে বোঝানো হয় তার একটা বিশাল অংশকে আমি কল্পবিজ্ঞান মনে করি না। কল্পবিজ্ঞান এমন জিনিস হবে যেটা পড়লে আমার বিজ্ঞানের কোনও না কোনও একটা বিষয় বা ঘটনা বা তত্ত্ব সম্বন্ধে কিছু একটা ধারণা জন্মাবে, বা অন্তত একটা প্রশ্ন জন্মাবে। সেটা যদি না হয়, তবে সেটাকে আমি কল্পবিজ্ঞান বলি না। মানে ধরুন, আমি একটা বিশেষ সৃষ্টির কথা মনে রেখেই বলছি, কিন্তু আমি তাঁর নাম বলছি না; আমি যদি দেখাই যে মহাশূন্যে একটা স্পেস স্টেশন হয়েছে, তাতে কয়েকজনের জীবন, তা সেই জীবনটা কী, না এ ওর পেছনে লাগছে, এ ওকে বাধা দিচ্ছে, এই যদি দেখাই, তাঁর সঙ্গে বিজ্ঞানের কী আছে। সেটা মহাশূন্যে না হয়ে এখানে কোথাও হতে পারত। হরিদাসপুরে ঘটনাটা ঘটতে পারত, এইগুলো কল্পবিজ্ঞান নয়।
একটা খুব ভালো উদাহরণ দিই। প্রেমেন্দ্র মিত্রর ঘনাদার একটা গল্প আছে— ‘ফুটো’। সেখানে ঘনাদা একটা গল্প বলছেন, তাতে তিনি এক বিজ্ঞানীর সঙ্গে মঙ্গল গ্রহে না চাঁদে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। এখন তারপরে গল্পের শেষে যেরকম হয়, জানেন যে মেসের অন্য যারা থাকে তাঁরা সেই গল্পটাকে নিয়ে একটু কাটাছেঁড়া করে। এখন তারা বলছে যে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার এত সময় পেলেন কোথায়। মঙ্গল গ্রহে যাতায়াত করতে তো দেড় মাস লাগে অন্তত, তা আপনি তো ওইসময় মেসেই ছিলেন। তখন ঘনাদা বলছেন, না আমি একটা ফোর্থ ডিমেনশন বা চতুর্থ মাত্রার ফুটো দিয়ে চলে গিয়েছিলাম। তারপরে প্রেমেন্দ্র মিত্র ব্যাখ্যা করছেন যে ধরুন একটা চিমটে রয়েছে। এএখানে দেখানো যাক, এখন চিমটের যদি এই প্রান্ত থেকে এই প্রান্তে একটা পিঁপড়ে যেতে চায়, তাহলে পিঁপড়েকে তো এমনি করে যেতে হবে, গোটা জায়গাটা ঘুরে। কিন্তু আমি যেহেতু তৃতীয় মাত্রায় যেতে পারি, আমি এখান থেকে এমনিভাবে চলে আসব, আমার অনেক কম জায়গায় হয়ে যাবে। তেমনি করে চতুর্থ মাত্রা দিয়ে আমি গিয়েছিলাম।
অসাধারণ, অসাধারণ লেখা! আপনার ওই চতুর্থ মাত্রা সম্পর্কে একটা বিস্ময়, একটা বোধ জন্মাবে, যেটা একেবারেই বিজ্ঞানের বিস্ময়। এবং এটাও ঠিক যে, এইরকম চতুর্থ মাত্রার ফুটো নিয়ে এরপরে, মানে উনিশ শো আশির দশকের শেষ থেকে বেশ নিবিড় গবেষণা হয়েছে। কাজেই এটা যে একেবারে আষাঢ়ে গপ্পো তাও নয়। এইরকম জিনিস, যেটা বিজ্ঞান শুধু না প্রযুক্তিও হতে পারে, যেমন জুল ভার্নের ‘মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড’ আশ্চর্য দ্বীপ। সেখানে সেই, মানে এটা আপনি পড়েছেন হয়তো, সেখানে কয়েকজন লোক একটা দ্বীপের মধ্যে জাহাজডুবি হয়ে গিয়ে আশ্রয় নিল, তারপর তাঁরা আস্তে আস্তে সভ্যতা গড়ে তুলছে। প্রথমে তাঁদের আগুন [জ্বালবার] চেষ্টা করতে হবে, মানে যেভাবে তাঁরা গড়ে তুলছে, ক্রমশ ক্রমশ, সভ্যতার প্রযুক্তির বিবর্তনটাকে মানে প্রায় চাক্ষুস লক্ষ করতে পারবেন সেই গল্পের মধ্যে দিয়ে। এই— এইটাই বিজ্ঞান বোধ। মানে যেটা এই বিজ্ঞান বোধ জাগিয়ে তোলে না— আমি আমার ওই লেখাটার মধ্যে একটা কথা বলেছিলাম, ধরুন কেউ একটা ঐতিহাসিক উপন্যাস বলে জিনিস লিখলেন, এখন তাতে তিনি লিখলেন যে কয়েকজন গুহাবাসী মানুষ একটা রকেটে করে একটা গুহা থেকে আরেক গুহায় যাচ্ছে, এতে মানুষের ইতিহাস বোধ লঙ্ঘিত হয়। তখন তারা একটা থাকবার একটা ব্যবস্থা করতে পারেনি, তারা রকেটে করে যাতায়াত করছে, কাজেই বিজ্ঞান বোধ যেখানে লঙ্ঘিত হয়, সেইরকম জিনিস লিখলে সেটা কল্পবিজ্ঞান হয় না। সেটা কল্পনা হতে পারে, সেটা আষাঢ়ে গল্প হতে পারে। আমরা তো ভূতের বা রূপকথার পড়ি, সেগুলোকে সেরকম রূপকথার গল্প হিসেবে আমার মেনে নিতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সেগুলোকে যখন লোকে বিজ্ঞান বলে ছাপ্পা দিতে চান, তখনই আমার খুব অসুবিধা এবং দুঃখ হয়।

ডাঃ চৌধুরী ::ঠিক। একদমই ঠিক। একটা অন্য বিষয়ে যাব এবার; আমরা এগোচ্ছি আলোচনায়, একটা বহুচর্চিত বিষয়, বিজ্ঞান চর্চায়, বিশেষত স্কুলে বিজ্ঞানশিক্ষায় আমরা প্রত্যেকেই প্রায়শই বলে থাকি যে স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষাটা সেরকম হচ্ছে না। তো আমরা আপনার অভিমত জানতে চাইব; দুটো বিষয়ে, এক হচ্ছে আমি-আপনি সবাই গ্রামের ছেলে, আমরা ছোটবেলায় গ্রামে দেখতাম, দু’রকমের ছেলেরা বিজ্ঞান পড়বে, একটা হচ্ছে ভালো ছেলে না হলে বিজ্ঞান পড়বে না (কোট আনকোট ভালো ছেলে), এই ভালো ছেলের ডেফিনিশনটা এখনও ঠিক হয়নি, আর দু’নম্বর হচ্ছে যে আর্থিক প্রতিপত্তি থাকতে হবে, বিজ্ঞান পড়তে গেলে বেশি পয়সা লাগে, অতএব গরিবের ছেলে বিজ্ঞান পড়বে না। দ্বিতীয় অংশটা বোধ হয় পরিবর্তিত হয়েছে দেশ এগোনোর সাথে সাথে, এবং এর পাশাপাশি প্রশ্ন তোলা, তর্ক করা— এই দুটো বস্তুকে আমরা বোধ হয় ততটা প্রশ্রয় দিই নি। তো এই তিনটি বিষয়, কারা বিজ্ঞান পড়বে, এবং বিজ্ঞান পড়া এবং পড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশ্ন তোলা-তর্ক করার ভূমিকা কী কী, সেটা নিয়ে আপনি যদি আপনার ভাবনাচিন্তা একটু বলেন—

অধ্যাপক পাল: আপনি বললেন তিনটে বিষয়, একটা হচ্ছে কারা বিজ্ঞান পড়বে, আরেকটা প্রশ্ন তোলা-তর্ক করা, আর একটা হচ্ছে বিজ্ঞান পড়ার খরচ। তো, তাহলে আমি প্রশ্ন তোলা-তর্ক করা নিয়ে আগে আলোচনা করি, অন্য দুটো হয়তো একসঙ্গে আলোচনা করব।
শুধু বিজ্ঞান নয়, অন্য বিষয়েও ভালো ছেলেমেয়েদের যাওয়া দরকার। ভালো ছেলেমেয়ে যারা আছে, তারা ভালো ভালো কাজ করবে। সেটা ইতিহাস পড়ার জন্য, ভালো ঐতিহাসিক হওয়ার জন্য যেমন দরকার, ভালো সমাজবিজ্ঞানী হওয়ার জন্য দরকার, ভালো অর্থনীতিবিদ হওয়ার জন্যেও দরকার।
এখন ভালো মানে সে জন্মসূত্রে ভালো এটাও আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি না। কারণ জন্মসূত্রে পুরোপুরি তারপর তো তাদের পরিশ্রম করবার ক্ষমতা আছে, তার অতটা জানবার ইচ্ছে আছে, এই সবকিছুর ওপরেই নির্ভর করে একজন ভালো কি খারাপ সেটা তৈরি হয়। ভালো হওয়া মানে হচ্ছে আমার সামনে দরজা খোলা রাখা। এটা আমি আমার ছেলেমেয়েদেরও বলতাম, আমি কোনওদিনই তোদের চাপ দেব না যে তোরা পরীক্ষায় এত নম্বর না পেলে আমি কপাল চাপড়াব, কিন্তু যত নম্বর পেলে তোর সামনের দরজা খোলা থাকবে সেই নম্বরটা পাওয়ার জন্যে তোকে চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ এর পরে দেখা গেল তুই অমুক জিনিসটা করতে চাস, কিন্তু সেখানে ঢুকতে পারছিস না কারণ তোর নম্বর নেই। তাহলে সেটা মুশকিল, এ ক্ষেত্রে ভালো হওয়া মানে হচ্ছে দরজাটা খোলা রাখা। কোনও না কোনওভাবে আমি যেটা করতে চাইছি সেটা করতে পারা। কিন্তু যেটা করতে চাইছি সেটা সবচেয়ে ভাল যারা, তারা প্রথম যেটা পড়তে চাইছে সেটা হয়তো পাবে, যারা তারপরে হয়তো প্রথমটায় পেল না সুযোগ, কারণ সেগুলো ভর্তি হয়ে গেছে, কাজেই দ্বিতীয়টায় পেল— কাউন্সেলিং-এ ভর্তি হওয়ার সময় কলেজে যেমন হয় সেরকম সেইভাবে, এটা তো হবেই। এটা সমস্ত সমাজেই হয়, আমাদের এখানেও হবে না এটা মনে করবার কোনও কারণ নেই।
এখন পড়ার খরচ সম্বন্ধে আমার মনে হয়, আপনি যেটা বললেন যে আমরা খানিকটা এগিয়েছি, আমার মনে হয় গত এক দু-দশকে আমরা খানিকটা পিছিয়েছি। মানে আমি নিজে অন্তত ব্যক্তিগতভাবে এই শিক্ষা যে কী বলা যায় মানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে হবে, মানে সরকারি উদ্যোগে হবে না, এইটার খুব বিরোধী। আমি মনে করি … কাজেই সেইটা সবার কাছে এবং বিনামূল্যে সেটা বিতরিত হওয়া উচিত, আগে যেটা বললাম সেটা মনে রেখে।
ধরুন, আমার এম এস সি ক্লাসে আশি জন ছাত্রছাত্রি আছে। তারা আশি জন এবং প্রত্যেক ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক পাশ করা ছাত্রছাত্রি যদি পিএইচডি করতে চায় তাহলে পিএইচডিতে তো অত জায়গা নেই। সেক্ষেত্রে আমাকে তো বাছতেই হবে। কাজেই সেইটা মেনে নিয়ে মোটামুটিভাবে যে যা পড়তে চায় সেটা বিনামূল্যে পড়তে দেওয়া উচিত, এবং সে খরচ আসা উচিত সরকারি কোষাগার থেকে। কিন্তু গত এক দু দশকে আমরা বহু এইরকম প্রাইভেট সংস্থা তৈরি হতে দেখেছি, যেটা আমার মতে খুবই জরুরি ব্যাপার।
এখন এই কথা বললে অনেকেই হামলে পড়ে বলেন, কেন আমেরিকায় তো অনেক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে, তারা কি খারাপ করছে? এটা অত্যন্ত কুযুক্তি। প্রথমত আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে কতজন আমেরিকান ঢোকে আর কতজন বাইরে থেকে ঢোকে সেটা একবার বিচার করতে হয়। মানে ওইখানে তারা চালাতে পারে না বলে তাদের বাইরে থেকে লোক নিতে হয়। এবং যারা ধরুন ইউরোপের যে সমস্ত দেশ ভালো করেছে, তারা তো সরকারিভাবেই ভালো করেছে। ফ্রান্স, জার্মানি; জার্মানিতে এখন শিক্ষার কোনও খরচ লাগে না। এমনকি বিদেশি ছাত্রদের জন্যেও খরচ লাগে না। আমার মনে হয় আমাদের সেই মডেলটা অনুসরণ করা উচিত ছিল যেটা আমরা করিনি, আর এখন তো যা দেখা যাচ্ছে শুধু শিক্ষা কেন, আরও অনেক ক্ষেত্রেই গোটা দেশ বিক্রি করে দেওয়ার সাধনায় নেমেছি; রেললাইন থেকে শুরু করে সবকিছুই এখন ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার একটা হিড়িক লেগেছে, এর শেষ কোথায় হবে আমি জানি না, কিন্তু যাই হোক সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনার দরকার নেই।
………………………………