সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র নিয়ে সেমিনার প্রেসিন্ডেন্সি কলেজে

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র নিয়ে সেমিনার প্রেসিন্ডেন্সি কলেজে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৫ জুন, ২০২২

কলকাতায় এই ধরণের উদ্যোগ প্রথমবার। জলাশয় এবং জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্রকে কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়, সেই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল গত ৮ জুন। সেদিন ছিল ‘সমুদ্র দিবস’। সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেমিনারের নাম অ্যাকোয়াম্যানিয়া ’২২।
জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য প্রচারের কাজ গত কয়েক বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার ল্যাবরেটরির ছাত্র-ছাত্রী এবং রিসার্চ স্কলারদের সংগঠন ‘অ্যাকোয়াফিল’। তাদের উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সেমিনার। সেখানে বকব্য রেখেছিলেন প্রেসিডেন্সির জীববিদ্যার অধ্যাপক সুমিত মণ্ডল ও কৌশিক প্রামাণিক এবং ভূগোলের অধ্যাপক প্রিয়ঙ্ক প্রবীণ পাটেল। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মৃত্তিকাক্ষয় থেকে শুরু করে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব, বায়ো-ইনভেশন— আলোচনায় উঠে আসে সামুদ্রিক বিপর্যয়ের সামগ্রিক পরিমণ্ডলের ছবি। অধ্যাপক প্রিয়ঙ্ক পাটেলের বক্তৃতায় ধরা পড়েছিল আমফান কিংবা ইয়াস বিধ্বস্ত কাঁথি, দীঘা, সুন্দরবনের ছবি। আসলে এই পরিণতি কোনো বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। এর পিছনেও লুকিয়ে রয়েছে সামুদ্রিক পরিবেশের অবক্ষয়। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল কংক্রিটে মুড়ে ফেলায় বার বার বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে উপকূলে। ঝাউ কিংবা ম্যানগ্রোভ— উপকূলের ‘নেটিভ স্পিসিস’-এর বৃক্ষচ্ছেদনও তার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ডঃ কৌশিক প্রামাণিক তুলে ধরেছিলেন মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =