সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র কি নিজেই নিজের ডাক্তার?

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র কি নিজেই নিজের ডাক্তার?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৫ মে, ২০২৩

পরিবেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দূষণের ঠ্যালায় নাজেহাল। বিজ্ঞানীরা চিন্তিত কীভাবে সমুদ্র বা অরণ্যকে দূষণের বিষ থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। কিন্তু সেই উদ্ধারের কাজটা যদি সমুদ্র নিজেই করে নেয়? মিথেনের মতো গ্যাসীয় দূষক দূর করার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
যদিও এই স্ব-শোধনের উদাহরণ কেবল সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। আগেও এই ধরণের প্রমাণ পেয়েছেন পরিবেশ গবেষকরা। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা খোঁজ দিচ্ছেন একটা নতুন পদ্ধতির যার সাহায্যে সমুদ্র তার নিজের চিকিৎসা নিজে হাতে করে।
পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছিল বিমান থেকে, সাথে ডাঙা থেকেও। দেখা গেছে আটলান্টিক মহাসাগরের সুদূর কোণে বিপুল পরিমাণ নাইট্রাস অ্যাসিডের উপস্থিতি। এই প্রক্রিয়াকে বলে ‘রেনোক্সিফিকেশন’। যেখানে এরোসলে উপস্থিত নাইট্রেট যৌগগুলো নাইট্রোজেন অক্সাইড আর নাইট্রাস অ্যাসিড হিসেবে পুরনায় সমুদ্রের জলে মিশে যায়।
এদিকে নাইট্রোজেন অক্সাইডগুলো বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। বাতাসে ভাসমান এরোসল নাইট্রেট যৌগগুলোই নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলোকে ধারণ করত। কিন্তু রেনোক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের দূষকগুলো সমুদ্রের জলে শোষিত হতে পারে।
সায়েন্স অ্যাডভানসেস পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র সামুদ্রিক রসায়নবিদ্যার জন্যেও খুব দরকারি প্রমাণিত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =