সিঁদ কেটে ঢুকছে শর্করা?

সিঁদ কেটে ঢুকছে শর্করা?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ নভেম্বর, ২০২২

কোকোনাট নেকটার, ফ্রুট পেস্ট, ব্রাউন রাইস সিরাপ, ঘন ফ্রুট জুস – তালিকাটা ছোট নয়। উপাদানগুলোকে সাদা চোখে দেখে স্বাস্থ্যকর বলেই মনে হবে। কিন্তু জর্জ ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের গবেষণা বলছে, এগুলো সব গোপনে শর্করা হিসেবে ঢুকছে।
এই বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়ার জন্যে বার্ষিক ‘স্টেট অফ দ্য ফুড সাপ্লাই রিপোর্ট’ সামনে এনেছে। এই বছরের প্রতিবেদনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে শর্করার উপর।
আমরা যে খাবার খাই তাতে দু প্রকারের শর্করা থাকে। এক, খাবারে উপস্থিত স্বাভাবিক স্বকীয় শর্করা, যেমন আম বা আপেল যে কারণে মিষ্টি হয়। আর দুই, বাইরে থেকে যোগ করা শর্করা, বা অ্যাডেড সুগার। খাদ্যদ্রব্যের মিষ্টত্ব বাড়ানোর জন্যে উৎপাদকরা বাড়তি শর্করা মেশায়।
আবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিদান রয়েছে শর্করার বিষয়ে। প্রতি দিন ১২ চামচের বেশি শর্করা গ্রহণ করা উচিৎ নয়। ওজন বেড়ে যাওয়া, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, দাঁতের রোগ – এইসমস্ত ব্যাধি বাড়তি শর্করা শরীরে গেলে সৃষ্টি হতে পারে।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো এখন অ্যাডেড সুগারের হিসেবটা দেখায় না। বা বলা ভালো, দেখানোর জন্যে বাধ্যতামূলক বিধি নেই কোনও। জর্জ ইন্সটিটিউট বলছে, লুকিয়ে চুরিয়ে বিভিন্ন বাহারি নামের মধ্যে দিয়ে কোম্পানিগুলো বাড়তি শর্করা খাবারে যোগ করছেই। যেমন – ফ্রুক্টোজ সিরাপ, অরগ্যানিক সুগার, মাল্টোডেক্সট্রিন, ট্যাপিওকা সিরাপ ইত্যাদি।
জর্জ ইন্সটিটিউটের ডায়টেশিয়ান ডঃ ডেইসি কোয়েল বলছেন, এই অ্যাডেড সুগারের চক্করে অস্ট্রেলীয়রা দিনে হয়তো ২২ চামচের মতো শর্করা অজান্তেই গ্রহণ করছে, যা হু-নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 5 =