সুপ্ত দশাতেও ব্যাকটেরিয়ার অপ্রত্যাশিত সক্রিয়তা, অবাক বিজ্ঞানীরা

সুপ্ত দশাতেও ব্যাকটেরিয়ার অপ্রত্যাশিত সক্রিয়তা, অবাক বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ব্যাকটেরিয়া প্রজননের জন্যে বীজগুটি বা স্পোরের সাহায্য নেয় যা সুপ্ত বা প্রায় মৃত অবস্থাতেই থাকে। কিন্তু শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকলেও বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন যে ব্যাকটেরিয়া ঐ দশাতে পারিপার্শ্বিকের ব্যাপারে সচেতন থাকে। পুষ্টি পদার্থের সামান্য হেরফের তারা টের পায় বীজগুটির অর্ধমৃত অবস্থাতেও।
সম্প্রতি গবেষণাপত্রটা প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স পত্রিকায়। আমাদের স্বাভাবিক ধারণাকে উল্টে দিতে তা যথেষ্ট। ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা সংক্রমণের প্রসঙ্গটা বাদ দিলেও, অবাক অবশ্যই হতে হয় এই ভেবে যে পৃথিবীতে চরম পরিস্থিতিতে কীভাবে এরা টিকে থাকে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ডিয়েগো ক্যাম্পাসের অণুজীববিজ্ঞানী গুরোল সুয়েল ছিলেন মুখ্য গবেষক। তিনি বলছেন, এতদিন স্পোরকে একটা নিষ্ক্রিয় পদার্থ বলেই ভাবা হত কিন্তু সেটা ভুল ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, গভীর সুপ্ত দশাতে যে ব্যাকটেরিয়া চারপাশের তথ্য নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকে তা আশ্চর্যের। দেহের ভেতরকার তড়িৎরাসায়নিক শক্তি ব্যবহার করেই তারা এই অসাধ্যসাধন করে থাকে। কোনও বিপাকক্রিয়ার প্রয়োজন কিন্তু পড়ে না।
দেহে ইতিমধ্যেই সঞ্চিত শক্তিকে পটাশিয়াম আয়ন হিসেবে ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়া আশেপাশের পুষ্টি পদার্থের হালহকিকত বুঝতে পারে। তারপর ঠিক করে সুপ্ত অবস্থা থেকে বেরোবে কিনা। ব্যাপারটা অনেকটা তড়িৎ বর্তনীতে ক্যাপাসিটরের কাজের মতোই।