সূর্যের ভেতরটা দেখার চেষ্টা!

সূর্যের ভেতরটা দেখার চেষ্টা!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

চন্দ্রায়ন-২-এর সহায়তায় সূর্যের ভেতরের স্তর এবার দেখার চেষ্টা করছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা! সূর্যের পরিমণ্ডলে একটা অংশে বিস্ফোরণ হয়েছে সম্প্রতি। তার চৌম্বক ক্ষেত্রটির পরিমাপও করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যৌথভাবে তারা সূর্যের ভেতরের কিছুটা অংশও দেখতে পেয়েছেন রেডিওওয়েভের সহায়তায়! সেখানে কী ধরণের কার্যকলাপ চলছে তার গবেষণাও করছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা! ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাষ্ট্রোফিজিক্সের (আইআইএ) বিজ্ঞানীরা, সূর্যের পরিমণ্ডলে হওয়া বিস্ফোরণে প্রথমবার যে প্লাজমা বেরিয়ে এসেছিল সেখান থেকে রেডিও ওয়েভ নির্গমনকে বিশ্লেষণ করে সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রটির পরিমাপ করেছেন এবং বিস্ফোরণের পর অন্যান্য প্রতিফলন যা যা দেখা গিয়েছে সেগুলো নিয়েও গবেষণা করছেন। করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) থেকে যে প্লাজমা বেরিয়ে এসেছিল সেটিকেও বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনাল মাস ইজেকশনকে বলা হয় সূর্যপৃষ্ঠের ওপর হওয়া সর্বোত্তম বিস্ফোরণ। কয়েকশো কোটি পদার্থ বেরিয়ে আসে বিস্ফোরণে। তারপর এরা কয়েক ঘন্টার মধ্যে কয়েক কোটি মাইল পর্যন্ত চলে যেতে পারে পারে প্রচন্ড গতিতে। আর এই পদার্থগুলো যে পথ দিয়ে প্রচন্ড গতিতে ছুটতে থাকে তার মধ্যে গ্রহ নক্ষত্ররাও পড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাতে অন্যান্য গ্রহ বা নক্ষত্রগুলোর গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। সিএমই যদি পৃথিবীর কাছ দিয়ে যায় তাহলে বিকল হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা! পৃথিবীর নিজস্ব উপগ্রহগুলির যাবতীয় রেডিও কমিউনিকেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিকতম সিএমই নিগর্মন হয়েছিল ২০১৬-তে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন রেডিও টেলিস্কোপের সহায়তায় তাঁরা সিএমই-র প্লাজমা নিগর্মন দেখেছেন। কিন্তু কী দেখতে পেয়েছেন তাঁরা? আইআইএ বেঙ্গালুরুর এক বিজ্ঞানী রমেশের মন্তব্যই হয়ত সত্যি। বলেছেন, “একটা অগ্নিবলয়। যার রঙ চোখ ধাঁধানো সাদা। রেডিও টেলিস্কোপের মধ্যে দিয়েও তাকিয়ে থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই বিস্ফোরণের পর প্লাজমা যখন বেরিয়ে আসে সূর্যের অবিশ্বাস্য ঔজ্বল্য থেকে তখন বোঝা যায় ঘটনাটা কী ঘটছে!”