সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিকের প্রতিকৃতি

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিকের প্রতিকৃতি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিকজনিত সমুদ্রদূষণ ও জীববৈচিত্র‍্যের ক্ষতিসাধন রোধে সাধারণ পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে সমুদ্র জীববিজ্ঞানী কাজী আসান হাবিব ও তাঁর দল প্লাস্টিক দিয়ে মাছের ভাষ্কর্য গড়েছেন। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে এই কাজটি করেছে। নিজের ছাত্রদের নিয়ে ড. হাবিব সৈকৎ থেকে আবর্জনা কুড়িয়ে নেন। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের দুই একজন শিক্ষার্থীর সাথে তিনি যোগাযোগ করেন। চারুকলা বিভাগের ছাত্ররা ও ড. হাবিবের ছাত্ররা মিলে আবর্জনা দিয়ে মাছের প্রতিকৃতিটি প্রস্তুত করেন। গোটা প্রতিকৃতিটি বানাতে সময় লেগেছে চার দিন।
একাজে ড. হাবিব এর মূল লক্ষ্য সাধারণ পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধি। যাতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা যায়। এই লক্ষ্যে ড. হাবিব ২০১১ সাল থেকে কাজ করে আসছেন। ড. হাবিব লক্ষ্য করেন সৈকতের যে প্লাস্টিকের আবর্জনা তা-ই সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে নষ্ট করার একটি উল্লেখ্য কারণ।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে পর্যটকদের সচেতন করার কথা ভাবার পর প্রথমে তিনি লিফলেট ইত্যাদি বিলির কথা ভাবেন। পরে ভাবেন ঐ লিফলেট তো পর্যটকরা পড়ার পর সৈকতেই ফেলে যাবে। এর ফলে দূষণ বাড়বে। তাই শেষে আবর্জনা দিয়েই মাছের ভাস্কর্য তৈরির পরিকল্পনা করেন। হাবিব এবং তাঁর ছাত্ররা মিলে আবর্জনা দিয়ে যে প্রতিকৃতিটি নির্মাণ করেছেন তার নিচে কিছু তথ্যমূলক বার্তাও লিখে দিয়েছেন। যেমন- প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে ফেলে দেওয়া যে প্লাস্টিক জমা হচ্ছে তা দিয়ে ১১টি বাংলাদেশের সমান দ্বীপ গড়ে উঠতে পারে। কিংবা মানুষ তার জীবদ্দশায় ফুড চেন বা খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে ১৮ কেজি প্লাস্টিক গ্রহণ করে। – এই বার্তা গুলির সাহায্যেই সচেতন করতে চাইছেন অধ্যাপক হাবিব। তিনি লক্ষ্য করেছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যারা আসছে তারা এই বার্তা গুলি পড়ছেন। হাবিবের নিজের কথায়, আমরা সমুদ্রের ওপরের সৌন্দর্যটা দেখি, মূল সৌন্দর্যটা কিন্তু জলের নিচে।