সোনার উৎসের খোঁজে জার্মানির বিজ্ঞানীরা

সোনার উৎসের খোঁজে জার্মানির বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ নভেম্বর, ২০২১

পৃথিবীর বুকে যা ভারি উপাদান আমরা দেখি তার অধিকাংশই, বিজ্ঞানীদের মতে নক্ষত্রদের বিস্ফোরণ, নিউট্রন স্টারদের সংঘর্ষে অথবা নক্ষত্রগুলোর ভেতরের চরম অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উপাদানগুলো কয়েক হাজার কোটি বছর ধরে এই গ্রহের ওপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কিন্তু উল্কাদের ক্রমাগত বিস্ফোরণে পৃথিবী নামক গ্রহটির যেমন আকার, আকৃতি হয়েছে সেরকমভাবে সেই উপাদানগুলোও ধীরে ধীরে পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। ভারি উপাদানের জন্মের ব্যাখ্যা তো দিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সোনা কীভাবে পৃথিবীতে এল? ইউরেনিয়ামই বা পৃথিবী পেল কীভাবে? সেই নিয়েই চলছে গবেষণা।
জার্মানি, বেলজিয়াম এবং জাপানের বিজ্ঞানীরা মিলে এই গবেষণা চালাচ্ছেন অনেক বছর ধরে এবং তারা এই গবেষণায় একটা দিশাও পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
দিশাটি হল, ছায়াপথের গভীরে, একদম মাঝখানে একটি কালো গহ্ববরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে এই বিজ্ঞানীদের দল দেখেছে সেখানে অজস্র ভারী উপাদানের সংশ্লেষণ এবং কালো গহ্ববরে থাকা ভারী উপাদান থাকার পেছনেও বিজ্ঞানীরা দেখছেন ছায়াপথে নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণ অথবা নিউট্রন নক্ষত্র থেকে প্রতিফলিত মহাকর্ষীয় তরঙ্গ এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের সঙ্গে মহাজাগতিক সংঘর্ষ। বিজ্ঞানীদের দাবি, দুটি নিউট্রনের সংঘর্ষের পরই সোনা, ইউরেনিয়ামের মত ভারি উপাদানগুলোর সৃষ্টি। রয়াল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির জার্নালে এই গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে। তবে গবেষণাটি অসমাপ্ত! বিজ্ঞানীরা বলছেন খোঁজ করার কাজটা শুরু হয়েছে। নিশ্চিত হওয়া এখনও যায়নি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 1 =