চলতি বছরে এখনও সৌরঝড় হয়নি। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এবার হবে। শেষবার সৌরঝড় পৃথিবী দেখেছিল ১৯৮৯-এ। এবছর সেটা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সৌরঝড় কী? মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, “সুর্যের ভেতর থাকে ভয়ঙ্কর গরম সব গ্যাস। ওই গ্যাসগুলো থাকে এমন এক অবস্থায়, যাকে প্লাজমা দশা বলা হয়। এবার সূর্যের উপরিতলে কখনও অস্থিরতার সৃষ্টি হলে ভেতরের সেই অত্যন্ত উত্তপ্ত গ্যাস বেরিয়ে আসে বাইরের আস্তরণ ভেদ করে। সৃষ্টি করে হেলিওস্ফেয়ারের। আর এতেই যত কাণ্ড সৌরজগতে! এই হেলিওস্ফেয়ারকেই বলা হয় সৌরঝড়। পৃথিবীর মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই হেলিওস্ফেয়ারের প্রভাব খুব একটা যে পড়ে তা নয়। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কখনও যদি সৌরঝড় বিশাল আকার ধারণ করে, তখন কিন্তু পৃথিবীর মানুষকেও বুঝতে হবে কী হচ্ছে আকাশের বুকে!
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাধারণত যে সৌরঝড়টা হয় সেটা হচ্ছে সোলার ফ্লেয়ার। তাতে সৌরজগতে একটা সিএমই হয়, মানে ‘করোনাল মাস ইজেকশন’। এই ঝড় চলাকালীন সূর্যপৃষ্ঠ থেকে কোটি কোটি আয়নযুক্ত কণা নির্গত হয়। তাতেই পৃথিবীর মানুষের বিপত্তি। বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণ, মহাকাশে পৃথিবীর যত কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে তার প্রত্যেকটা ওই আয়নযুক্ত উত্তপ্ত কণায় প্রভাবিত হয়। আর এর ফলে তাদের কাজও বন্ধ হয়ে যেতে পারে সাময়িকভাবে। পৃথিবীর অনেক দেশের ইন্টারনেট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেকটা সময়ের জন্য। ক্যালিফোর্ণিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী দলের ভবিষ্যৎবাণী, আগামী দশকে সৌরঝড়ের কারণে কিন্তু অনেক রকমের বিপর্যয়ের সাক্ষী হতে হবে পৃথিবীকে।