স্টারলাইনারের মহাকাশ যাত্রায় বিঘ্ন- ১৭ই মে ফের যাত্রা শুরুর দিন

স্টারলাইনারের মহাকাশ যাত্রায় বিঘ্ন- ১৭ই মে ফের যাত্রা শুরুর দিন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৮ মে, ২০২৪

কুষ্ঠি ঠিকুজি, পঞ্জিকা দেখে কাজ শুরু করার প্রচলন বিশ্ববিজ্ঞানের সাংস্কৃতিক রঙ্গমঞ্চে নেই। আমাদের দেশে হলে তো শুভক্ষণ না দেখে কোন যাত্রা শুরুর কথা ভাবাই যেত না। মহাকাশ দখলের লড়াইয়ে এলন মাস্ক-এর স্পেস-এক্স কোম্পানীর সাথে দৌড়ে নামতে গিয়ে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে বোয়িং। তাই এখন মনে হচ্ছে আমাদের দেশের মতো ওদেশেও যদি জনাকয়েক জ্যোতিষী থাকতেন তাহলে বোধহয় এ ঝামেলা এড়ানো যেত!!

গতকালই বোয়িং কোম্পানির মহাকাশফেরী স্টারলাইনারে চেপে যাত্রার কথা ছিল দুজন মহাকাশচারীর। উঠেও পড়েছিলেন তারা মহাকাশের ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশনে পৌঁছনোর জন্য তৈরী হওয়া অ্যাপোলো ১১-র মতো দেখতে স্টারলাইনারে।

সব প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ লগ্নে তখন দেখা যায় যে অ্যাটলাস ৫ রকেটে গোলযোগ দেখা দিয়েছে। অক্সিজেন ভাল্ভ যা জ্বালানী ব্যবহারের ক্ষেত্রে অপরিহার্য্য, তা ঠিক মতো কাজ করছিল না। স্টারলাইনারে জ্বালানী কেরোসীন এবং তরল অক্সিজেন এর আগেই মহাকাশফেরীতে ভরা হয়ে গেছিল। তারপরেই এই ত্রুটি ধরা পড়ে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে ২০১৪ সাল থেকে স্টারলাইনারের মহাকাশ যাত্রার পরিকল্পনা শুরু হয়। অর্থ খরচও হয়েছে অনেক, কয়েক হাজার কোটী।

প্রতিদ্বন্দ্বী এলন মাস্কের স্পেস-এক্স কোম্পানী ২০২০ সালে ‘ক্রু ড্রাগন’ নামের মহাকাশযান পাঠিয়েছিল স্পেস স্টেশনে। তাতে গেছিলেন ডগ হারলে এবং বব বেংকেন। এরপরেও স্পেস-এক্স আরও ৮টি উপগ্রহ পাঠিয়েছে। স্টারলাইনারের দুজন মহাকাশচারীর নাম বাচ উইলমোর এবং সুনীতা উইলিয়ামস। এরা প্রায় একদশক ধরে নিজেদের নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে প্রস্তুত করেছেন, এই সুকঠিন যাত্রার জন্য। পরবর্তী উৎক্ষেপণের দিন ঠিক হয়েছে ১৭ই মে। এবারেও পাঁজি না দেখেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =