হিমাচলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাটা হচ্ছে বিরল প্রজাতির গাছ!

হিমাচলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাটা হচ্ছে বিরল প্রজাতির গাছ!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা। ২৯ জুন
Posted on ২৯ জুন, ২০২২

বিরল এক পাইন গাছ। নাম চিলগোজা পাইন। দেখতে ঝাউ বা দেবদারুর মত। কিন্তু গাছের ডালের ফল বলে দেয় প্রজাতিটি আলাদা এবং বিরল, এবং সর্বোপরি বিলুপ্তপ্রায়। এই বিরল প্রজাতির গাছ দেখা যায় শুধু হিমাচল প্রদেশ আর কাশ্মীরে। ২০১১ সালে বিপন্ন উদ্ভিদের তালিকায় এই গাছটিকে অন্তর্ভুক্ত করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার। সমীক্ষায় উঠে এসেছিল বিগত এক দশকে প্রায় ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এই গাছের সংখ্যা। কিন্তু বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও এবার হিমাচল প্রদেশে কাটা পড়তে চলেছে এই প্রজাতির কয়েক হাজার গাছ। কারণ সেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। চার বছর আগে যে জাঙ্গি-থোপান পোওয়ারি হাইড্রো-প্রোজেক্টের জন্য কাটা পড়েছিল তিন হাজার চিলগোজা পাইন! ২০১৯ ও ২০২০-তেও ঘটেছিল একই ঘটনা। এবার আবার নজিরবিহীন বৃক্ষচ্ছেদনের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায়। সাতলেজ নদীর ওপর ৩০০০ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। আর তার জন্য প্রায় ৩৫০ একর অরণ্য-নিধনে সবুজ সংকেত দিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রায় দশ হাজার চিলগোজা কাটা পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা স্থানীয়দের।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। আন্দোলনে সামিল হয়েছে কিন্নর-ভিত্তিক একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সংরক্ষণ সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত তাতে খুব একটা কর্ণপাত করেনি সরকার। প্রশাসনের দাবি, প্রকল্প শেষ হলে ক্ষতিপূরণ হিসাবে কৃত্রিমভাবে রোপণ করা হবে চিলগোজা গাছ। যদিও সরকারের এই প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে রয়েছে ধোঁয়াশা। পাশাপাশি, খোদ গবেষকরাই জানাচ্ছেন এই গাছের কৃত্রিম প্রজনন দুরূহ একটি বিষয়।