আমেরিকায় ১৬ এবং তার চেয়ে বেশি বয়সের মানুষকে ফাইজার ভ্যাকসিনই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়ার পর গবেষকরা লক্ষ করছেন তার হৃদযন্ত্রের উত্তাপ বাড়ছে! আর কোভিডে আক্রান্ত না হওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে ফাইজার নেওয়ার পর তার হৃদযন্ত্র তেমন উত্তপ্ত হচ্ছে না। ইজরায়েলের একটি স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ভ্যাকসিন নেওয়া প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে অন্তত ৫ জন মায়ো-কার্ডিটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের মত, টীকা না নিলে হৃদযন্ত্রের এই অসুখ তাদের মধ্যে বাসা বাঁধত না। আর কোভিডে আক্রান্ত রোগী ভ্যাকসিন নেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে প্রতি ১ লক্ষ রোগীর মধ্যে অন্তত ১১ জন হৃদযন্ত্রের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষকরা ৮ লক্ষ ৮৪ হাজার টীকা দেওয়া মানুষ এবং সমসংখ্যক টীকা না দেওয়া মানুষের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে, টীকা দেওয়া মানুষের মধ্যে ২১জনের শরীরে মায়ো-কার্ডিটিস ঢূকে পড়েছে। আর টীকা না নেওয়া ৬জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন হৃদযন্ত্রের এই অসুখে।
ফাইজারের সঙ্গে এমআরএনএ টীকা নেওয়ার পরও হ্নদযন্ত্রের অসুখ দেখা দিচ্ছে মানুষের শরীরে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মায়ো-কার্ডিটিস কিন্তু মারণ রোগের পর্যায়েই পড়ে। এই অসুখ থেকে ভবিষ্যতে অন্য নানা রকমের বিপজ্জনক অসুখেও মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।