২রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে গেল আর্টেমিস-১ উৎক্ষেপণ

২রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে গেল আর্টেমিস-১ উৎক্ষেপণ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩১ আগষ্ট, ২০২২

উড়ান নেওয়ার অনুকূল তাপমাত্রা না থাকায় আরএস-২৫ ইঞ্জিন জুড়তে পারল না ঠিকমতো। সে জন্যই চাঁদে পাড়ি দেওয়ায় দেরি হল এসএলএস-এর। নাসার তৈরি এই স্পেস লঞ্চ সিস্টেমটি লম্বায় ৩২২ ফুট, মানে একশো মিটারের কাছে। কথা হয়ে আছে – ২০২৪ সালে আর্টেমিসের পরবর্তী উড়ানে চার জন মহাকাশচারী পাক খাবেন চাঁদের চারপাশে।

সোমবারে কথা ছিল প্রথম আকাশে ওড়ার। কিন্তু একটা ইঞ্জিনে গলদ ধরা পড়ায় রকেটের ঘড়ি তড়িঘড়ি বন্ধ করে আবার চালু করা হলেও সমস্যা তৈরি হতে থাকেই। দু ঘণ্টার বাঁধাধরা সময় ছিল উৎক্ষেপণের জন্যে, সেটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২রা সেপ্টেম্বরের দিকে তাকিয়ে আছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

উৎক্ষেপণের সাথে যুক্ত বিজ্ঞানীরাও নাগাড়ে ছানবিন চালিয়ে যাচ্ছেন কেন আরএস-২৫ ইঞ্জিন উড়ানের ঠিক আগে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছল না। এর আগেও জ্বালানি নিয়ে সমস্যা ছিলই। তাতে একঘণ্টা দেরিও হয়ে গিয়েছিল। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের আকাশে তখন বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। জ্বালানী হিসেবে বাড়তি প্রায় দশ লক্ষ গ্যালন তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন নষ্ট হয়। নাসার প্রযুক্তিবিদরা প্রথমে যদিও ভেবেছিলেন রকেটের মূল অংশে ফাটল আছে অথবা কমলা রঙের জ্বালানী প্রকোষ্ঠে হয়তো বা কোনও লিক আছে। তবে পরে তাঁরা জানান যে সমস্যাটা নাকি শ্রেফ কুয়াশার জন্যেই হয়েছিল।

নাসার এই মিশনের লক্ষ্য অনেকটাই অভিনব। মহাকাশযানটিকে চাঁদ থেকে ষাট হাজার কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে তারপর সেখান থেকে চাঁদের কক্ষপথে বা চাঁদের মাটিতে নামানোর পরিকল্পনা নাসার। তাতে নাকি মানুষকে নিয়েও চাঁদের চারপাশে ঘোরানো যাবে। নাসার বিজ্ঞানীরা শুধু নয়, ২রা সেপ্টেম্বরের দিকে চেয়ে আছে গোটা দুনিয়াই।