১৯৭২ সালের এমনই এক ডিসেম্বর। তারিখটা ২৩। অ্যাপোলো অভিযান শেষ হয়েছিল ঐ দিনটায়। চাঁদের মাটিতে পা রাখা মহাকাশচারীরা ফিরে আসে পৃথিবীতে। আর্টেমিসের ক্ষেত্রে যেমনটা হল, তেমনই প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ ঘটায় (স্প্ল্যাশ ডাউন) অ্যাপোলো।
কেমন অবস্থায় ফিরেছিল অ্যাপোলো? কক্ষপথে ঘোরার জন্যে সব যন্ত্রপাতি ঠিকই ছিল। শুধু বিগড়ে যায় সারফেস গ্র্যাভিমিটার। নাসার ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষক দল প্রতিবেদনে লিখেছিল, অ্যাপোলো ১৭-কে বৈজ্ঞানিকভাবে সবচেয়ে আধুনিক মহাকাশযান হিসেবে মনে রাখা হবে।
অ্যাপোলো মিশন থেকে চাঁদ আর পৃথিবী সম্বন্ধে জরুরী জ্ঞান আহরন করেছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের মাটির নমুনা যা কিনা অ্যাপোলোর মহাকাশচারীরা এনেছিলেন সেগুলো কাজে লাগানো হয় দরকার মতো। চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২২ সালের মে মাসে নাসার গবেষকরা আবার চাঁদের সেইসব পাথর আর মাটির নমুনা পরীক্ষার জন্য বের করেহিলেন।
নভেম্বরে, অনেক বাধাবিঘ্নের পর নাসার আর্টেমিস অভিযান সফল হয়। এটাও চন্দ্রাভিযানের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলেই মতামত বিজ্ঞানীদের। ২০২৫ সালে এই অভিযানের অংশ হিসেবেই আবার, অর্ধ শতকের বেশি সময় পরে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে মানুষ। সেই দিকেই সাগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে আপামর বিজ্ঞানপিপাসু জনগণ।