ধনকুবের এলন মাস্ক তো আগেই বলেছিলেন চাঁদে তিনি বসতি স্থাপন করার উদ্দেশ্য নিয়ে উপগ্রহ পাঠাবেন, মহাকাশচারীদের পাঠাবেন। এবার কিছু মানুষের ইচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশের আরও দূর দূরান্তে অভিযান পরিচালনা করার জন্য চাঁদে আস্তানা গড়া। কিন্তু তার জন্য তো অক্সিজেন প্রয়োজন। পৃথিবী থেকে অক্সিজেন চাঁদে নিয়ে যাওয়া? সে তো অনেক খরচ সাপেক্ষ, পরিশ্রমেরও বটে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদেই অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারলে সবথেকে সুবিধের এবং সেটা সম্ভব! এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন সেটা চাঁদের পৃষ্ঠেই রয়েছে। একদম ওপরের স্তরে। এবং পরিমাণ? ৮০০ কোটি মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে ১ লক্ষ বছর পর্যন্ত স্বচ্ছন্দে!
তবে চাঁদের ওপরের স্তরে যে অক্সিজেন খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা সেটা বায়বীয় রূপে নেই। যা আছে সেগুলো শিলাচূর্ণ। তাকে বলা হয় রেগোলিথ। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে উল্কা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলছেন চাঁদের ওপরের স্তরে থাকা এই রেগোলিথের ৪১ থেকে ৪৫ শতাংশই অক্সিজেন। স্পেস ডট কম ওয়েবসাইটের আরও একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চাঁদ থেকে ব্যবহারযোগ্য অক্সিজেন আহরণ করতে চাইলে ইলেক্ট্রোলাইসিস নামের এক প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়ে পারেন।চাঁদের বায়ুমণ্ডল হালকা। তাতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম। মূল উপাদান হাইড্রোজেন, নিয়ন ও আরগন। চাঁদে খনিজ পদার্থও আছে। সিলিকা, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের মত। তার অস্তিত্ব পাওয়া যায় চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা ধুলো, নুড়িপাথরের মধ্যে।
কনভারশেশন ডটকমে প্রকাশিত একটি লেখা জানাচ্ছে চাঁদের পৃষ্ঠের নীচের স্তরে থাকা পাথরের স্তরে থাকা অক্সিজেন যদি না-ও বার করা যায়, শুধু রেগোলিথ থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন পাওয়া যাবে। এই অণ্বেষণে উৎসাহ শুধু বিজ্ঞানীদের নয়, এলন মাস্কের মত ধনকুবেরদেরও! অভিযান থেকে ব্যবসা-চাট্টিখানি কথা!