১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাদুঘরের বিজ্ঞানীরা পূর্ব উপকূলের একটা ছোট্ট দ্বীপ লর্ড হোয়ে আইল্যান্ডে যুগান্তকারী এক অভিযান চালিয়েছিলেন। অনেক নতুন প্রজাতির মধ্যে একটা আরশোলা তাঁরা আবিষ্কার করেছিলেন। কাঠের গুঁড়ির নীচে পাওয়া এই প্রজাতির তখন নাম দেওয়া হয় আ লার্জ ব্লাটা।
বহুকাল পর লর্ড হোয়ে দ্বীপের কাষ্ঠভুক ঐ বৃহৎ আরশোলার ল্যাটিন নামকরণ হয়েছিল প্যান্থেসিয়া লাটা। কিন্তু তাদের দুর্ভাগ্য শুরু হয় ১৯১৮ সালের পরে, যখন এক জাহাজে করে একপাল ইঁদুর এসে হাজির হয় ঐ ছোট দ্বীপটায়। বিংশ শতকের শেষদিকেই অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও একটাও আরশোলার আর দেখা পাওয়া যায়নি। মনে করা হল, ইঁদুরের উৎপাতেই লাটে উঠেছে লাটা প্রজাতির আরশোলার বংশ।
লম্বায় চার সেন্টিমিটার এই আরশোলার কিন্তু ডানা নেই। জঙ্গলে গোপনে বাস করে এরা মাটির তলায়। পচা পাতা আর নষ্ট কাঠ খেয়েই জীবনধারণ করে। কিন্তু সম্প্রতি, প্রায় ৮০ বছর পর লর্ড হোয়ে দ্বীপে অনুসন্ধান চালিয়ে সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক নাথান লো দেখা পেয়েছেন প্যান্থেসিয়া লাটার। ঐ দ্বীপের বিবর্তনের গতিপ্রকৃতি বুঝতে আরশোলার ডিএনএ পরীক্ষা চলছে। কীভাবে বিলুপ্তির পরেও আবার ফিরে এলো এই দৈত্যাকার আরশোলা, সেটা বেশ তাৎপর্যের হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন প্রোফেসর নাথান লো।