সাঁতার দিলেই তাঁর হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। মাটিতে ঘষটে ঘষটে চলতেই ইনি তাই স্বচ্ছন্দ। আট শুঁড়ের অক্টোপাস, তার ন’টা মগজ। ভাবা যায়!
তিনটে হৃদযন্ত্রের মধ্যে দুটো নিযুক্ত থাকে রক্তে ফুলকা পার করে দেওয়ার কাজে। আর একটা সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের জন্যে। ন’টা মাথার মধ্যে মূল একটাই, বাকিগুলো থাকে আটখানা শুঁড়ে। শুঁড়ের মগজে যা জমা হয় বাইরে থেকে, আসল মগজ সেই তথ্যই নাড়াঘাঁটা করে। আজব কারখানা!
অক্টোপাসের শরীরে যত নিউরোন, তার তিনভাগের দু ভাগই থাকে শুঁড়ে। কীভাবে ঝিনুক খুঁজতে হবে, শত্রুকে চেনার কাজে অথবা বিশ্রামের কখন নিতে হবে – বেশিটাই করে থাকে ঐ আট মগজ। মূল মস্তিষ্ক তখন হয়তো অন্য কাজে ব্যস্ত।
লৌহঘটিত হিমোগ্লোবিনের প্রভাবে আমাদের রক্ত লাল হয়। অক্টোপাসের শরীরে তেমন সায়ানোগ্লোবিন, যাতে তামা আছে। এতেও মানুষের শরীরের মতোই কাজ হয়, যদিও ততটা ভালভাবে না। তাই অঙ্গের বাহার যতই থাক, অক্টোপাস আসলে দুর্বল।