জলবায়ুর শ্রী ফেরাতে পথ দেখাবে ২০২৩?

জলবায়ুর শ্রী ফেরাতে পথ দেখাবে ২০২৩?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২১ জানুয়ারী, ২০২৩

অনেক সংশয়বাদীই মনে করে জাতিসংঘের বার্ষিক বৈঠক আসলে প্রহসন। শুধু কথাবার্তাই হয়, কাজের কিছুই হয় না। ব্যাঙ্গ করে গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, ব্লা ব্লা ব্লা। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, বেশিরভাগ জলবায়ু সম্মেলন শেষ অবধি গিয়ে দাঁড়ায় জ্বালানী উৎপাদক বড়ো বড়ো সংস্থার দরকষাকষির মঞ্চ। কিন্তু ২০২৩ সালের সম্ভাব্য ছবিটা কিঞ্চিৎ পৃথক। আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা।
গত ডিসেম্বরে পৃথিবীর ধনীতম সাতটা দেশের সহযোগে একটা ‘ক্লাইমেট ক্লাব’ তৈরি হয়েছে। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম নর্ডহাস বলছেন, এই ক্লাবের সদস্য দেশগুলো সাধারণ কর্মসূচি নেবে বলেই বিশ্বাস। বিশেষ করে ইস্পাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে কার্বন দূষণের পরিমাণ যত কমানো যায় সেই প্রযুক্তির লক্ষ্যেই কাজ করবে সবচেয়ে উন্নত কয়েকটা দেশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কার্বন শুল্ক চালু করতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। এই চুক্তিও সম্পাদিত হয়েছে গত ডিসেম্বর মাসে। ইউরোপের জলবায়ুর জন্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শাপে বরই বলা চলে। জীবাশ্ম জ্বালানির দাম যতই চড়েছে ২০২২ সাল জুড়ে, ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ অপ্রচলিত শক্তির দিকে ততই ঝুঁকেছে। অনেক দেশ আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার থেকে অনুদানও পেয়েছে এই মর্মে।
এছাড়াও বালিতে জি-২০ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসনকে ধনী দেশগুলো ৩০ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারের অনুদান দিয়েছে কয়লা ব্যবহার বন্ধ করার জন্যে। একই ধরণের প্রস্তাব গত ডিসেম্বরে ভিয়েতনামকে দেওয়া হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরে ভারতকেও একই রকমের অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে অতিউন্নত দেশগুলো।