ওজোন স্তরের ক্ষত সারছে, আশার কথা শোনালো জাতিসংঘ

ওজোন স্তরের ক্ষত সারছে, আশার কথা শোনালো জাতিসংঘ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

ওজোন স্তর পৃথিবীকে নানা ক্ষতিকর মহাজাগতিক রশ্মি বিকিরণ থেকে রক্ষা করে। এটা যেমন সত্যিই তেমনই মানুষের কার্যকলাপের ফলে এই ওজোন স্তরে বিরাট একটা ফুঁটোও তৈরি হয়েছিল সেটাও সত্যি। কিন্তু জাতিসংঘের একটা নতুন রিপোর্ট আশার কথা শোনাচ্ছে। ধীরে ধীরে ক্ষত সারছে ওজোন স্তরের। অ্যান্টার্কটিকার ঠিক মাথার কাছে ওজোন স্তরের এই ছিদ্র পুরোটা আগের অবস্থায় আসবে, তবে অপেক্ষা করতে হবে কম করে ৪৩ বছর।
চামড়ার ক্যান্সারের মতো এই বিষয়টা। প্রত্যেক চার বছর অন্তর একটা করে বৈজ্ঞানিক তদন্ত চলে কতটা ঠিক হল ওজোন স্তরের এই ‘ব্যাধি’। যদিও এই নিয়ামানুগ পরীক্ষাটা চালু হয়েছিল আজ থেকে ৩৫ বছর আগেই। প্রতিটা দেশ ঐক্যমত্যে এসে সেইসব রাসায়নিক উৎপাদনে রাশ টেনেছিল যেগুলোর প্রভাবে ওজোন স্তরের ক্ষতি হচ্ছিল।
জাতিসংঘের এই বৈজ্ঞানিক তদন্ত কমিটির প্রধান পল নিউম্যান বললেন, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উপরিভাগে আর ওজোনমণ্ডলে অবস্থার উন্নতি ধীরে ধীরে হলেও হচ্ছে। অ্যামেরিকার ডেনভারে অ্যামেরিকান আবহাওয়া বিভাগের সম্মেলনে গত সোমবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যদিও এই ক্ষত সারার প্রক্রিয়াটা দ্রুত নয়। ২০৪০ সালের আগে ওজোন স্তরের পুরনো অবস্থায় ফেরাটা কঠিন। ১৯৮০ সাল থেকেই এই ক্ষতি প্রথম নজরে আসে বিজ্ঞানীদের। তখন থেকেই অ্যান্টার্কটিকার উপরে আকাশে ওজোনমণ্ডল পাতলা হতে শুরু করেছিল।
বিজ্ঞানীদের খসড়া হিসেব বলছে, ওজোন স্তরের ক্ষতি মেরামত হতে অপেক্ষা করতে হবে ২০৬৬ সাল অবধি।