চেরেঙ্কোভ বিকিরণের প্রমাণ মিলল পরীক্ষাগারে

চেরেঙ্কোভ বিকিরণের প্রমাণ মিলল পরীক্ষাগারে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

জেটবিমানের গতিবেগ যদি শব্দের চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাকে সুপারসোনিক জেট বলে। তেমন ঘটনা আলোর ক্ষেত্রেও ঘটে। কোনও মাধ্যমে আলোর গতিবেগের চেয়ে যদি কোনও আহিত কণার (যেমন – ইলেকট্রন) বেগ বেশি হয় তাহলে তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ নির্গত হয়। এটাকেই চেরেঙ্কোভ বিকিরণ বলে। একে ‘অপটিক্যাল শক ওয়েভ’ বলেও ডাকা হয়।
১৯৩৪ সালে এই তড়িৎচুম্বকীয় ঘটনা সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয়। এই অনুসন্ধানের জন্যে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার এসেছিল ১৯৫৮ সালে। এবার টেকনিয়ন-ইসরায়েল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অন্তর্গত ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড কম্পিউটার প্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা এই ঘটনার চাক্ষুষ প্রমাণ দিলেন।
চেরেঙ্কোভ বিকিরণের হাতেনাতে প্রমাণ না থাকলেও এর বহুবিধ ব্যবহার কিন্তু প্রচলিত রয়েছে। অনেক বছর ধরেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে ছবি তোলার জন্যে কিংবা কণার শনাক্তকরণের জন্য এই অনন্য ঘটনার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। লেজার-চালিত ইলেকট্রন অ্যাক্সিলেরেটর যন্ত্রেও চেরেঙ্কোভ বিকিরণের প্রয়োগ করা হত।
‘ফিজিক্যাল রিভিউ এক্স’ নামক পত্রিকায় গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। টেকনিয়নের দুই বিজ্ঞানী ইয়ুভাল আদিভ আর শাই সেসেস ছিলেন মুখ্য দুজন গবেষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + five =