২৬শে এপ্রিল, ১৯৮৬। ইউক্রেনের চেরনোবিলে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছিল। ৩০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা জুড়ে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ধিকিধিকি আঁচ আজও নেভেনি পুরোপুরি। হাড় হিম করা সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে ঐ অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চেরনোবিলের স্বাভাবিক বাসিন্দা হলুদ রঙের ব্যাঙের তুলনায় সংখ্যাধিক্য ঘটেছে কালো রঙের ব্যাঙের। গবেষকরা বলছেন, বিবর্তনের হাতেগরম প্রমাণ।
এভোলিউশানারি অ্যাপ্লিকেশান পত্রিকায় কিছুদিন আগেই বেরিয়েছে এই গবেষণাপত্র। পুরোধা ছিলেন স্পেনের সেভিয়া শহরের ডোনানা বায়োলজিক্যাল স্টেশানের জীববিজ্ঞানী পাবলো বুরাকো। পূর্বাঞ্চলের গেছো ব্যাঙ, যাদের ল্যাটিন নাম হাইলা ওরিয়েন্টালিস, ত্বকে মেলানিনের মাত্রা বেশি থাকার কারণে ঐ প্রজাতি টিকে থাকতে পেরেছে। তুলনায় অনেকটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে হালকা রঙের ব্যাঙের প্রজাতিগুলো।
ডঃ বুরাকো বলছেন, চেরনোবিলের বিকিরণের মাত্রা হিরোশিমা নাগাসাকির তুলনায় একশোগুন বেশি তীব্র ছিল। দুর্ঘটনা কলবিত ১২টা পুকুরের ২০০টা পুরুষ ব্যাঙ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা গেছে অর্ধেক সংখ্যক ব্যাঙই কালো রঙের। হলুদ ত্বকের ব্যাঙ বিকিরণের তেজ সহ্য করতে পারেনি। কিন্তু মেলানিন থাকায় কালো চামড়ার ব্যাঙ দূষণের অভিশাপ অনেকটাই মানিয়ে নিতে পেরেছে।