তড়িঘড়ি ওষুধ আবিষ্কার কিংবা আবহাওয়ার নিখুঁত পূর্বাভাস – সব ক্ষেত্রেই দ্রুতগামী প্রযুক্তির দরকার পড়ে। সাথে বৈজ্ঞানিক কুশলতাও আবশ্যিক। উন্নততর কম্পিউটার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবার উদ্যোগী হল অ্যামেরিকার একাধিক নামী বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ডিয়েগো ক্যাম্পাসের নেতৃত্বে আরও দশটা বিশ্ববিদ্যালয় দলগতভাবে একটা প্রকল্পে নেমেছে। ৫০.৫ মিলিয়ন ডলারের এই প্রজেক্টে কম্পিউটারের গতি আর কার্যকারিতা আরও বাড়ানো হবে।
পরবর্তী প্রজন্মের কম্পিউটার চিপ আর নতুন সফটওয়ার আবিষ্কার করার প্রয়োজন। উদ্যোগে সামিল হয়েছে স্ট্যানফোর্ড কিংবা লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও। প্রকল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ডিয়েগো ক্যাম্পাসের কম্পিউটার প্রযুক্তির অধ্যাপক তাজানা সিমুনিক রোসিং। তিনি জানিয়েছেন, এখন চালু কম্পিউটার ব্যবস্থার প্রায় সাড়ে ছয় বছর লেগে যায় কোন ঔষধি যৌগগুলোকে নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যেতে পারে সেটা জানতেই। তারপরেও শতকরা ৯০ ভাগ ট্রায়ালই ব্যর্থ হয়।
অধ্যাপক রোসিং পরিকল্পনাটা খোলসা করে বললেন। ওনাদের লক্ষ্য ওষুধ তৈরির এই দীর্ঘ প্রক্রিয়াটার সময় কয়েক বছর থেকে কমিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা। আর ফলাফল যাতে আরও সঠিক হয় সেটার দিকেও নজর রাখা বাধ্যতামূলক।
গবেষণায় আর্থিক অনুদানের বেশিরভাগটাই যোগাচ্ছে ‘দ্য সেমিকন্ডাক্টার রিসার্চ কর্পোরেশন’। নর্থ ক্যারোলিনায় অবস্থিত এই সংস্থা শিল্পগোষ্ঠী, সরকার আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে। এই সংস্থার তরফ থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের অনুদান পেয়েছেন গবেষকরা।