ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এই সপ্তাহে পাঁচ মিনিটের একটা ভুতুড়ে অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের শব্দ কেমন অদ্ভুত আর কর্কশ হতে পারে ক্লিপ শুনে সেটাই বোঝা যাচ্ছে।
পৃথিবীর অভ্যন্তরে অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বকত্ব বিদ্যমান। ম্যাগনেটোস্ফিয়ার। ধুমকেতুর ল্যাজের মতো একটা বুনন আমাদের গ্রহের বাইরে তৈরি হয়ে আছে। মহাকাশের নানা জাতের কণা বিকিরণের হাত থেকে এই চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীকে রক্ষা করে। এছাড়াও এই ক্ষেত্রেই উপস্থিতির জন্যেই সৌরঝড়ের আঘাতে বায়ুমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
এবার, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ডেনমার্কের গবেষকরা চৌম্বক সংকেতকে শব্দতরঙ্গে রূপান্তরিত করে এই অডিও ক্লিপ তৈরি করলেন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সোয়ার্ম স্যাটেলাইট মিশন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের তদারকিতে নিযুক্ত ছিল। তাঁরাও সাহায্য করেছে ডেনমার্কের বিজ্ঞানীদের।
অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর থেকেই ডেনমার্কের কোপেনহাগেন শহরের সলজার্গ স্কয়ারে লাউডস্পিকারে দিনে তিনবার করে বাজানো হচ্ছে ঐ শব্দ। প্রতিদিন সকাল ৮টা, দুপুর ১টা আর সন্ধ্যে ৭টার সময় চলছে ঐ ভুতুড়ে আওয়াজের নমুনা। এই অভিনব উদ্যোগের মূল কারিগর একজন সঙ্গীতজ্ঞ, নাম ক্লাউস নিয়েলসেন। উনি জানিয়েছেন, সলজার্গে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ৩০টারও বেশি লাউডস্পিকারে বেজে চলেছে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের শব্দ।