পৃথিবীর কেন্দ্রক ঠিক কেমন? ২০ বছরের গবেষণার পর এলো উত্তর

পৃথিবীর কেন্দ্রক ঠিক কেমন? ২০ বছরের গবেষণার পর এলো উত্তর

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

পৃথিবী আমাদের বাসস্থান বটে। কিন্তু এই গ্রহের ধাঁধার অন্ত নেই। পেঁয়াজের খোসার মতো ছাড়াতে ছাড়াতে একেবারে ভেতরের জায়গাটা কেমন, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের অসীম কৌতূহল। ২০ বছরের দীর্ঘ গবেষণার পর উত্তর দিচ্ছেন গবেষকরা।
নতুন বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, কেন্দ্রকের ভেতরেও একটা মূল কেন্দ্র রয়েছে। সেটা একটা গনগনে লোহার বল। সেটার ঘনত্ব অত্যন্ত বেশি। পৃথিবীর গঠন আর বিবর্তন সম্পর্কে এতদিন বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এবার হয়তো ব্যাখ্যা করা যাবে তত্ত্বের ফাঁকফোকর। আমাদের গ্রহের ইতিহাসে একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা অতি প্রাচীন কালে নিশ্চয়ই ঘটেছিল।
ক্রাস্ট থেকে শুরু করে কোর বা কেন্দ্রক। সমকেন্দ্রিক অনেকগুলো স্তর মিলিতভাবে গঠন করেছে পৃথিবীর অভ্যন্তর। একেবারে কেন্দ্রের অঞ্চলটা ১২২৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের। এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন অংশ। যেন একটা নিরেট বল। মূলত লোহা আর নিকেল দিয়ে তৈরি। কিন্তু পৃথিবীর মোট আয়তনের মাত্র এক শতাংশ দখল করে রয়েছে এই শেষতম কেন্দ্রক।
এই অন্তিম কেন্দ্রেই পৃথিবীর গঠনগত ইতিহাসের গোপন তথ্যগুলো রয়ে গেছে, এমনই মতামত গবেষকদের। এই কেন্দ্রাংশ যতই বাড়তে থাকে, তাপ আর আলো বিকিরিত হতে থাকে। এই শক্তিগুলো বাইরের তরল স্তরেও প্রভাব ফেলে। এই ডাইনামোর মতো অংশটা থেকেই গতিশক্তি চৌম্বকশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র আছে বলেই মহাজাগতিক ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে পৃথিবী রক্ষা পায়। প্রাণের বিকাশ সম্ভবই হয়েছে এর ফলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =