আগামী কয়েক দশকে লাসা ভাইরাসের দাপট চলতে পারে আফ্রিকা জুড়ে

আগামী কয়েক দশকে লাসা ভাইরাসের দাপট চলতে পারে আফ্রিকা জুড়ে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, ঘাসজমির উপস্থিতি – এইসব নানান দিকের দীর্ঘ সময়ের তথ্য খতিয়ে বিজ্ঞানীরা দুশ্চিন্তার কেন্দ্র আফ্রিকা মহাদেশ। পরবর্তী কয়েক দশকে পশ্চিম থেকে পূর্ব আর মধ্য আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়বে মারণ লাসা ভাইরাস।
এমনিতেই আফ্রিকা জুড়ে বিভিন্ন কারণে জনসংখ্যা বাড়ছে খুব দ্রুতহারে। তাতে আগামী পঞ্চাশ বছরে বৃদ্ধি পাবে লাসা জ্বরের প্রকোপও, এমনই অভিমত মুখ্য গবেষক রাফায়েল ক্লিটিং-এর। উনি এখন পোস্টডক্টরাল গবেষণা চালাচ্ছেন মার্সেইল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
লাসা ভাইরাসকে বলা যায় জুনোটিক ভাইরাস। অর্থাৎ অন্য প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায়। লাসা সংক্রমণে দায়ী এক জাতের ইঁদুর, যাদের ল্যাটিন নাম ম্যাস্টোমিস নাটালেন্সিস। আশি শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তির খুব মৃদু উপসর্গ থাকে বা একেবারেই উপসর্গহীন। কিন্তু বাদবাকিদের জন্য অপেক্ষা করে থাকে ভয়াবহ শারীরিক অসুস্থতা। রক্তচাপ খুবই কমে যায়, মুখ আর খাদ্যনালীতে রক্তক্ষরণ আর তারপর স্থায়ী বধিরতা। রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হারও খুব বেশি।
প্রাথমিকভাবে গবেষকদের আশঙ্কা নাইজেরিয়া ও অবশিষ্ট পশ্চিম আফ্রিকা নিয়ে। দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে চিকিৎসার অভাব। ভ্যাকসিন আবিষ্কার এখনও হয়নি।