উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে জনবসতিহীন অঞ্চলে বিরল প্রজাতির গাছপালা এবং প্রাণীরা বিকাশ

উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে জনবসতিহীন অঞ্চলে বিরল প্রজাতির গাছপালা এবং প্রাণীরা বিকাশ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ মার্চ, ২০২৩

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যস্থ ডিমিলিটারাইজড জোনে (DMZ) অর্থাৎ, যেখানে কোনো দেশের কোনো সৈন্য নেই, এবং সেখানে কোনো মানুষ বসবাস করে না, ফলে কোরিয়ান যুদ্ধ অবসানের ৭০ বছর পরে, বিরল উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির বিকাশ ওই স্থানে হতে দেখা গেছে।
উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে শত্রুতার অবসানের সত্তরতম বার্ষিকী উপলক্ষে, কিছু ছবি প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা গেছে বেড়া এবং ল্যান্ডমাইন দ্বারা বেষ্টিত দুই দেশের মধ্যকার প্রায় ১৬০ মাইল লম্বা (২৫৭ কিলোমিটার) জায়গা যাকে ইংরেজিতে বাফার জোন বলে সেখানে বন্যপ্রাণীর আশ্রয়স্থল গড়ে উঠেছে।
গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে প্রায় ৫৬০ বর্গ-মাইল প্রসারিত জমির অংশ যা কয়েক দশক ধরে বিচ্ছিন্ন সেখানে কিছু উন্নত মানের জীববৈচিত্র্য লক্ষ্য করা গেছে।
কোরিয়ান যুদ্ধের পরে, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলে ন্যূনতম মানব প্রবেশ করেছিল। ফলত যুদ্ধের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃতি নিজেই নিজের পুনরুদ্ধার করেছিল। জায়গাটাতে একটা নতুন বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছিল যা শহরাঞ্চলের চারপাশে দেখা যায় না এবং ধীরে ধীরে জায়গাটা বন্যপ্রাণীর জন্য একটা অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইকোলজি দ্বারা স্থাপিত ক্যামেরায় এই দুই দেশের মাঝে বয়ে চলা নদীর ধারে, তুষারাবৃত পাহাড়ে, জলাভূমিতে এবং বনে বিপন্ন প্রজাতির সারস, কস্তুরী হরিণ, ভাল্লুক এবং পাহাড়ী ছাগলের পাশাপাশি উদ্ববিড়ালের মতো প্রাণীদের অবাধে বিচরণ করতে দেখা গেছে। এই ক্যামেরা বিগত ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবার একটা এশিয়াটিক কালো ভাল্লুককেও ফ্রেমবন্দী করেছে। গবেষকদের মতে এই প্রজাতির ভাল্লুকের সংখ্যা বাসস্থানের অভাবে এবং শিকারের কারণে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে ।