উচ্চশক্তির নিউট্রিনো কণা যে আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরের কোনও অতিভারি ব্ল্যাকহোলের প্রভাবে নির্গত হতে পারে, সেটা আরও একবার প্রমাণ হল। এটা নিয়ে দ্বিতীয়বার। দুটো ছায়াপথের মাঝখানে যে বিস্তীর্ণ এলাকা থাকে, সেখানে আগেও বিজ্ঞানীরা এই ভুতুড়ে কণার সন্ধান চালিয়েছেন।
স্কুইড গ্যালাক্সি – সুন্দর একটা কুণ্ডলীকৃত ছায়াপথ পৃথিবী থেকে ৪৭ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। টেরাইলেকট্রনভোল্ট শক্তির পর্যায়ে দশটা নিউট্রিনো কণা শনাক্ত করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। সেগুলো ধেয়ে আসছিল স্কুইড গ্যালাক্সির অভিমুখ থেকেই।
উইস্কন্সিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রান্সিস হ্যালজেন বলছেন, একটামাত্র নিউট্রিনো কণা নির্গত হলে তা থেকে একটামাত্র উৎসই চিহ্নিত হয়। কিন্তু অনেকগুলো নিউট্রিনো যদি বিস্ফারিত হয় তাহলে অবশ্যই সেগুলো আসছে সবচেয়ে শক্তিশালী কোনও মহাজাগতিক বস্তুর কেন্দ্র থেকে। প্রোফেসর হ্যালজেন আইসকিউব নামের একটা নিউট্রিনো-শনাক্তকারী প্রকল্পের প্রধান তদারকও বটে।
এখনও অবধি টেরাইলেকট্রনভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন ৮০টা নিউট্রিনো কণার সন্ধান করতে পেরেছে আইসকিউব। তাদের মধ্যে সবগুলোই আসছে এনজিসি-১০৬৮ নামের ছায়াপথ থেকে। তাতে বিজ্ঞানীদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। কিন্তু নিউট্রিনো কণা কীভাবে মহাকাশে জালবিস্তার করে রেখেছে সেটা কিছুটা বুঝতে হলে এটাই প্রথম পোক্ত ধাপ।
সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণার নতুন এই খবর।