লাফ দেওয়া মাকড়সার কীর্তি

লাফ দেওয়া মাকড়সার কীর্তি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৪ মার্চ, ২০২৩

আকারে ছোট, গোলগোল একাধিক চোখ – এই লাফ দিতে পারা মাকড়সা এমন একটা কাজ পারে যেটা মেরুদণ্ডী প্রাণীরাই কেবল পারে বলে ধারণা ছিল বিজ্ঞানীদের। জড় আর অজড় পদার্থের মধ্যে ফারাক করতে পারা।
উত্তর গোলার্ধের বেশ সাধারণ একটা মাকড়সার প্রজাতি এম. সেমিলিম্বেটাস। এই জাতের ৬০ খানা মাকড়সা পরীক্ষার জন্যে সংগ্রহ করেছিলেন জীববিজ্ঞানী ম্যাসিমো ডে অ্যাগ্রো ও তাঁর সহকারী গবেষক দল। তারপর সেগুলোকে নিয়ে একটা বিশেষ ধরণের পয়েন্ট লাইট টেস্ট করা হয়।
কেমন ছিল সেই পরীক্ষা? – ঐ মাকড়সাদের সামনে একটা ডিজিটাল পর্দায় এগারোটা সচল বিন্দু রাখা হয়েছিল। দেখা গেছে যেসব ক্ষেত্রে ছবিগুলো কম জীবন্ত মনে হচ্ছে, সেগুলোর দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে চোখ বড়ো বড়ো করে তাকাচ্ছে মাকড়সারা। এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে যখন পর্দায় ছবিটা সবচেয়ে কম জীবন্ত বলে মনে হবে।
প্রোফেসর ডে অ্যাগ্রোর নেতৃত্বে গবেষক দলটার মতে, সজীব আর নির্জীব বস্তুর মধ্যে এভাবেই পার্থক্য করতে পারে লাফ-দেওয়া মাকড়সা। কীভাবে কাজ করে প্রাণীটার চোখ? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাথার দুই প্রান্তে বাড়তি চোখগুলো হয়তো সামনের বড়ো দুটো চোখের মতো সরাসরি দেখার কাজে ব্যবহার হয় না। বরং ঐ বাড়তি চোখ দিয়ে একটা সামগ্রিক ছবি (৩৬০ ডিগ্রি ভিশন) তৈরি হয়।
গবেষণাপত্রটা বেরিয়েছে প্লস বায়োলজিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =