রদ্দি কাগজ থেকে ব্যাটারির পার্টস!

রদ্দি কাগজ থেকে ব্যাটারির পার্টস!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৬ মার্চ, ২০২৩

সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা পরশপাথরের মতো কীর্তি স্থাপন করলেন কি? বাতিল কাগজ, কাগজের ব্যাগ আর কার্ডবোর্ড বাক্স দিয়েই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির দরকারি একটা অংশ তৈরি করে দেখালেন তাঁরা।
কার্বোনাইজেশন বলে একটা পদ্ধতি আছে। এতে কাগজ থেকে বিশুদ্ধ কার্বন পাওয়া যায়। এবার সেই পদ্ধতিতেই নানইয়াং-এর গবেষকরা কাগজের ফাইবার থেকে তড়িৎদ্বার বানালেন। এই তড়িৎদ্বার বা ইলেক্ট্রোড কাজে লাগে রিচার্জেবেল ব্যাটারি তৈরিতে যা কিনা মোবাইল ফোন, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি আর বিদ্যুৎচালিত গাড়িতে ব্যবহৃত হয় ব্যাপকভাবে।
কাগজকে কার্বোনাইজ করার প্রক্রিয়াটা কেমন? প্রথমে খুব বেশি তাপমাত্রায় কাগজকে পোড়ান হয়। এর ফলে কাগজ থেকে নিখাদ কার্বন, জলীয় বাষ্প আর একপ্রকারের তেল বের হয়। ঐ তেল আবার জৈবজ্বালানী হিসেবে কাজে লাগতে পারে। যেহেতু এই গোটা কর্মকাণ্ডটা অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে ঘটে, তাই উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণটা অতি নগণ্য। তাই এই পদ্ধতিটাকে পরিবেশবান্ধব বলে সার্টিফিকেটও দেওয়া চলে।
গবেষক দলের তৈরি করা কার্বন অ্যানোড টেকসই, নমনীয় আর তড়িৎরাসায়নিক গুণসম্পন্ন। পরীক্ষাগারে সেই অ্যানোডকে চার্জ আর ডিসচার্জ করা গেছে ১২০০ বার। এখন ফোনের ব্যাটারিতে যে অ্যানোড ব্যবহৃত হয় তার চেয়ে দ্বিগুণ সময় চলবে এই নতুন অ্যানোড। এটা যান্ত্রিক চাপ অনেক বেশি সহ্য করতে পারে। গবেষকরা হিসেব করে দেখালেন ভেঙে চুরে নষ্ট করতেও অন্য চালু ব্যাটারির তুলনায় পাঁচগুণ বেশি শক্তির দরকার হবে।
অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং নামের পত্রিকায় প্রকাশিত হল এই গবেষণাপত্র।