মাইগ্রেনে ভোগা মানুষের মগজের ভেতর উঁকিঝুঁকি

মাইগ্রেনে ভোগা মানুষের মগজের ভেতর উঁকিঝুঁকি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ২১ মার্চ, ২০২৩

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা আর বিরক্তি ব্যক্ত করতে পারেন একমাত্র ভুক্তভোগীরাই। কিন্তু মাইগ্রেনের গবেষণাও সহজ নয়, এতদিন ধরে চালু কিছু রহস্য আর সমস্যা ছিলই। হয়তো বড়সড় কোনও সমাধানসূত্র খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মগজের রক্তবাহী নালীগুলোর চারপাশে তরলে ভরা একটা অংশ আছে। এটাকে পেরিভাস্কুলার স্পেস বলে। অতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এমআরআই ব্যবহার করে গবেষকরা দেখেছেন মাইগ্রেনে ভোগা মানুষের মগজে ঐ পেরিভাস্কুলার স্পেস অস্বাভাবিক রকমের স্ফীত। যাদের টানা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে বা যাদের কোনও কোনও সময় এটা হয়, দুটো ক্ষেত্রেই এই অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা গেছে।
রেডিওলজিকাল সোসাইটি অফ নর্থ অ্যামেরিকার ১০৮তম বার্ষিক সভায় এই নতুন গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল সম্প্রতি। লস এঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসাবিজ্ঞানী উইলসন ঝু বলছেন, সেন্ট্রাম সেমিওভাল নামের মস্তিষ্কের একটা অঞ্চলে পেরিভাস্কুলার স্পেসে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে মাইগ্রেনের রুগীদের। এই অদলবদলের বিষয়টা ইতিপূর্বে কখনই প্রকাশিত হয়নি।
সেরিব্রাল কর্টেক্সের ঠিক নীচেই মস্তিষ্কের শ্বেত বস্তুর কেন্দ্রীয় অঞ্চল বলা চলে সেন্ট্রাম সেমিওভালকে। কিন্তু সেই অংশের পেরিভাস্কুলার স্পেস নিয়ে গবেষকদের কৌতূহলের অন্ত নেই। যদিও এখনও সম্পূর্ণ কার্যকলাপ বোঝা যায়নি। কিন্তু মগজের ভেতর তরলের প্রবাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এটার। উইলসন জানিয়েছেন, গ্লিমফ্যাটিক সিস্টেম মস্তিষ্ক আর স্নায়ুতন্ত্রের বর্জ্য পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকে। আবার এই সিস্টেম পেরিভাস্কুলার স্পেস ব্যবহার করে সেই দূষিত পদার্থ পরিবহনের জন্যে। সেখানে সমস্যা তৈরি হলে মাইগ্রেন আরম্ভ হয়।